উপকূলের শিশুদের দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাসভিত্তিক জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেট ক্লাব উদ্বোধন
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সম্ভাব্য শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে ২০ হাজার সেনাকে প্রস্তুত করেছে ইন্দোনেশিয়া। গাজার স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো পুনর্গঠন কাজ পরিচালনার জন্যই মূলত এসব সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাজাফ্রি সাজামসোয়েদ্দিন। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) তিনি এ তথ্য জানান।
বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গাজায় একটি বহুজাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনী গঠনের আলোচনায় থাকা দেশগুলোর একটি। এ আলোচনায় আরও রয়েছে আজারবাইজান, মিশর ও কাতার। বহুজাতিক এই বাহিনী গাজায় স্থিতিশীলতা আনা, সীমান্ত সুরক্ষা, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিতকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে বলে ধারণা করছে ওয়াশিংটন।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত রয়টার্সের এক খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করছে যেটি গাজাকে সামরিকীকরণমুক্ত রাখা, সীমান্ত কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ, মানবিক সহায়তা বিতরণ এবং নতুনভাবে প্রশিক্ষিত ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীকে সহায়তা প্রদানের ক্ষমতা অর্জন করবে।
তবে ইন্দোনেশিয়া এখনো ঘোষণা দেয়নি, কখন তারা সেনা মোতায়েন করবে কিংবা শান্তিরক্ষী বাহিনীতে তাদের সুনির্দিষ্ট ভূমিকা কী হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাজামসোয়েদ্দিন বলেন, “আমরা সর্বোচ্চ ২০ হাজার সৈন্য প্রস্তুত রেখেছি। আপাতত তারা স্বাস্থ্যসেবা ও নির্মাণকাজ সংশ্লিষ্ট সহায়তায় ভূমিকা রাখবে।”
তিনি আরও জানান, দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো এবং সফররত জর্ডানের বাদশা আবদুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা ও সম্ভাব্য বহুজাতিক বাহিনীর কাঠামো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “ইন্দোনেশিয়া শান্তি প্রচেষ্টায় কী ভূমিকা নিতে পারে তা নিয়ে আমরা প্রস্তুত। সেনা মোতায়েনের সংখ্যা বা সময় নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট।”
এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রাবোও ঘোষণা করেছিলেন, জাতিসংঘ থেকে অনুমোদন এলে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইন্দোনেশিয়া ২০ হাজার বা তারও বেশি সেনা পাঠাতে প্রস্তুত।