রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি: চার বাংলাদেশির মৃত্যু, উদ্ধার আরও ২২


লিবিয়ার আল-খোমস উপকূলে ২৬ বাংলাদেশিকে বহনকারী একটি নৌকা ডুবে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই রাতে আরও একটি অভিবাসী নৌকা ডুবে গেলেও সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট জীবিতদের উদ্ধার করে সহায়তা দিয়েছে। ইউরোপমুখী অবৈধ অভিবাসনের প্রধান রুট হওয়ায় নিয়মিত এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনা ঘটছে লিবিয়ায়।

১৬ নভেম্বর ২০২৫, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ 

লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি: চার বাংলাদেশির মৃত্যু, উদ্ধার আরও ২২
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার উপকূলে ২৬ বাংলাদেশিকে নিয়ে একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে চারজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। একই উপকূলে পৃথক আরেকটি নৌকাডুবির ঘটনায় অর্ধশতাধিক সুদানি অভিবাসীও সমুদ্রে ভাসছিলেন, তবে ওই ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-খোমস উপকূলে এসব দু’টি নৌকাডুবি ঘটে।

রোববার (১৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে—বৃহস্পতিবার রাতে আল-খোমসের তীরের কাছে পরপর দুটি অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে যায়। প্রথম নৌকাটিতে ছিলেন বাংলাদেশের ২৬ নাগরিক। তাদের মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

দ্বিতীয় নৌকাটিতে ছিলেন মোট ৬৯ জন। এর মধ্যে দুজন মিসরীয় এবং বাকি ৬৭ জন সুদানি নাগরিক—এদের মধ্যে আটজন শিশু। রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, নৌকাডুবির খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জীবিতদের উদ্ধার করে এবং মরদেহগুলো তীরে নিয়ে যায়।

দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়া ইউরোপমুখী অবৈধ অভিবাসীদের প্রধান ট্রানজিট রুট হিসেবে পরিচিত। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটিতে অস্থিতিশীলতা বাড়ে, ফলে বিভিন্ন আফ্রিকান দেশের অভিবাসীরা লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ পথ বেছে নিচ্ছেন। বর্তমানে লিবিয়ায় সাড়ে ৮ লাখেরও বেশি অভিবাসী অবস্থান করছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, লিবিয়ায় অভিবাসী ও শরণার্থীরা নিয়মিতভাবে নির্যাতন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজির শিকার হন। এমনকি যেসব মিলিশিয়া এসব অপরাধে জড়িত—তাদের সঙ্গে লিবিয়া কোস্টগার্ডের সম্পর্ক থাকার অভিযোগও রয়েছে। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে সরঞ্জাম ও অর্থসহায়তা দিচ্ছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অভিযোগ, ইউরোপীয় দেশগুলো রাষ্ট্রীয় উদ্ধার অভিযান কমিয়ে দেওয়ায় সমুদ্রে যাত্রা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর দাতব্য সংস্থাগুলো উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে গেলে নানা ধরনের দমনমূলক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।