উপকূলের শিশুদের দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাসভিত্তিক জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেট ক্লাব উদ্বোধন
১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৮:১২ অপরাহ্ণ
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আরও প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে এগিয়ে নিতে এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণে সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। বিশেষ করে ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (টিএফএ) বাস্তবায়ন এবং স্যানিটারি ও ফাইটো-স্যানিটারি (এসপিএস) মানদণ্ড শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এই সহযোগিতা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এক অনলাইন সাক্ষাৎকারে ডব্লিউটিও’র উপ-মহাপরিচালক জিয়াংচেন ঝ্যাং বলেন, বাণিজ্য প্রক্রিয়া উন্নয়নে বাংলাদেশের অঙ্গীকার অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি জানান, ২০১৬ সালে প্রাথমিক এলডিসি দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম টিএফএ অনুমোদন করে। এর ফলে বাণিজ্য ব্যয় কমে নতুন বাজারে প্রবেশ সহজ হয়েছে, যা রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।
ঝ্যাং বলেন, টিএফএ কার্যকর ও টেকসইভাবে বাস্তবায়নে সদস্য দেশগুলো ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন অ্যাগ্রিমেন্ট ফ্যাসিলিটি (টিএফএএফ) গঠন করেছে। এই সুবিধার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা পেতে পারে। টিএফএএফ-এর গ্রান্ট প্রোগ্রামের আওতায় ৩০ হাজার থেকে ২ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত সহায়তা পাওয়া সম্ভব, যদি অন্য কোনো উৎস থেকে সহায়তা না থাকে।
তিনি আরও জানান, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে টিএফএ বাস্তবায়নে সহায়তা দিয়েছে।
এসপিএস সক্ষমতা উন্নয়নে ডব্লিউটিওর নানা কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে ঝ্যাং বলেন, ই-পিং সিস্টেম, ট্রান্সপারেন্সি চ্যাম্পিয়ন ট্রেনিং এবং চাহিদাভিত্তিক ইন-কান্ট্রি ট্রেনিং-এর মতো উদ্যোগ উন্নয়নশীল দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে। গত বছর এসপিএস ও টিবিটি চুক্তির আওতায় বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করতে সদস্য দেশগুলো একটি ঘোষণা গ্রহণ করেছে, যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলো সময়মতো প্রাসঙ্গিক সহায়তা পেতে পারে।
এ ছাড়া, স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড ট্রেড ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটি (এসটিডিএফ) উন্নয়নশীল দেশগুলোর বিশেষ এসপিএস চাহিদা পূরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ এসটিডিএফ-এর সহযোগিতায় ক্ষুদ্র চিংড়ি চাষিদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বায়োপেস্টিসাইড উন্নয়ন, বীজ বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং রপ্তানি উপযোগী শাকসবজির এসপিএস মান উন্নয়নে কাজ করছে।
ডব্লিউটিও জানিয়েছে, টিএফএ ও এসপিএস চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজীকরণ, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন এবং মানব–প্রাণী–উদ্ভিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। রপ্তানি প্রতিযোগিতা বাড়াতে টিএফএ বাস্তবায়নে অগ্রগতি এবং এসপিএস ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করাকে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।