উপকূলের শিশুদের দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাসভিত্তিক জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেট ক্লাব উদ্বোধন
১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৭:২৬ অপরাহ্ণ
আগের তিনটি জাতীয় নির্বাচন ‘একতরফা ও জালিয়াতিপূর্ণ’ ছিল—এমন মূল্যায়নের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১৩ লাখ কর্মকর্তার ভূমিকা পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এসব কর্মকর্তা ভবিষ্যতে দায়িত্ব পালনে উপযুক্ত কি না—তা খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বলা হয়েছে।
সরকারের নির্দেশনার পর প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে কমিশন। নির্বাচনের সময়সীমা এগিয়ে আসায় ২৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়ে প্রশাসনে উল্লেখযোগ্য রদবদল শুরু করেছে সরকার। ডিসিরাই রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “বিগত তিন নির্বাচনে যাদের ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা ছিল, তাদের এবার দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হবে। তবে এটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে।”
তিনি আরও জানান, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, রাজনৈতিক পরিচয়, সংশ্লিষ্টতা—সব বিবেচনায় নেওয়া হবে। পাশাপাশি নতুন নিয়োগ ও বদলির মাধ্যমে দায়িত্বে রদবদল আনা হবে।
সাধারণত স্কুলের শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তা ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীরা পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তবে ঢালাওভাবে সবাইকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে নির্বাচন পরিচালনায় পর্যাপ্ত কর্মকর্তা পাওয়া কঠিন হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা।
নির্বাচন বিশ্লেষক জেসমিন টুলি বলেন, “দলকানা কর্মকর্তাদের অবশ্যই বাদ দিতে হবে। কিন্তু অনেককেই বাধ্যতামূলক সাংবিধানিক দায়িত্বের কারণে কাজ করতে হয়েছে। সৎ ও দক্ষদের দায়িত্ব দেওয়া উচিত, এমনকি তারা আগের নির্বাচনে কাজ করলেও।"
তিনি আরও বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ইসিকে কঠোর হতে হবে।
নির্বাচনকে ঘিরে প্রশাসনিক রদবদল ও নতুন নিয়োগের এই উদ্যোগে নির্বাচন ব্যবস্থা কতটা স্বচ্ছ হয়—এখন সেটিই প্রধান প্রশ্ন।