রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

প্রথমবারের মতো ইথিওপিয়ায় মারবার্গ ভাইরাস শনাক্ত


ইথিওপিয়ায় প্রথমবারের মতো মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত নয়জন শনাক্ত হয়েছে। ওমো অঞ্চলে ভাইরাল হেমোরেজিক ফিভার পরীক্ষা করতে গিয়ে এ ভাইরাস ধরা পড়ে। বাদুড় ও সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরের তরল থেকে মারবার্গ ভাইরাস ছড়ায়। মারাত্মক এ ভাইরাসে জ্বর, র‍্যাশ ও রক্তক্ষরণ দেখা যায় এবং এখনো কোনো টিকা বা নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আক্রান্তদের আলাদা করে চিকিৎসা দিচ্ছে এবং সংক্রমণ রোধে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

১৫ নভেম্বর ২০২৫, ২:১৮ অপরাহ্ণ 

প্রথমবারের মতো ইথিওপিয়ায় মারবার্গ ভাইরাস শনাক্ত
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

ইথিওপিয়ায় প্রথমবারের মতো প্রাণঘাতী মারবার্গ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ওমো অঞ্চলে নয়জনের দেহে এ ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পরই প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করা হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।

স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, সন্দেহভাজন ভাইরাল হেমোরেজিক ফিভার পরীক্ষা করতে গিয়ে মারবার্গ ভাইরাস ধরা পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইবোলার সমগোত্রীয় এ ফিলোভাইরাস আরও তীব্র ও প্রাণঘাতী, যা দ্রুত দেহে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করে এবং মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।

মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সাধারণত জ্বর, র‍্যাশ, প্রচণ্ড দুর্বলতা এবং তীব্র রক্তক্ষরণ দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, এ ভাইরাসের কোনো টিকা বা নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। চিকিৎসা হিসেবে মূলত সাপোর্টিভ কেয়ার দেওয়া হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর তথ্যমতে, প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাসের সমগোত্রীয় মারবার্গ প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ১৯৬৭ সালে জার্মানির মারবার্গ ও ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং সার্বিয়ার বেলগ্রাদে। সার্বিকভাবে ৩১ জন আক্রান্ত ও সাতজনের মৃত্যুর পর এ ভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপী সতর্কতা জোরদার হয়।

বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য অনুযায়ী, বাদুড় হলো মারবার্গ ভাইরাসের প্রধান উৎস। আফ্রিকান সবুজ বানর ও শূকরও এ ভাইরাস বহন করতে পারে। বাদুড়ের বাসস্থান আছে এমন গুহা বা খনিতে দীর্ঘদিন অবস্থানকারী ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।

এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তরল, রক্ত বা দূষিত কাপড়-চোপড় স্পর্শের মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়ায়। এমনকি সুস্থ হওয়ার পরও কয়েক মাস পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত বা বীর্যে ভাইরাস থাকতে পারে এবং সেখান থেকেও সংক্রমণ ঘটতে পারে।

ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আক্রান্তদের আলাদা করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আক্রান্ত এলাকার আশপাশে নজরদারি ও কনট্যাক্ট ট্রেসিং জোরদার করা হয়েছে।