বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫

ময়মনসিংহ জেলা নির্বাচন অফিসে দুদকের অভিযান


ময়মনসিংহ জেলা নির্বাচন অফিসে দুদকের অভিযান
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

ময়মনসিংহের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় দুদক কর্মকর্তারা সেবাপ্রার্থীদের  নানা রকম অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন।

সোমবার (২৩ জুন) দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের দুদকের সহকারী পরিচালক মো: বুলু মিয়ার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কক্ষে দুদকের সামনে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন সেবাপ্রার্থীরা। যদিও নির্বাচন কর্মকর্তার দাবি তাদের অফিসে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি হয়নি। অভিযান চলাকালে দুদক কর্মকর্তাদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ অন্য অধস্তন কর্মকর্তা কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক টিম।

সেবাপ্রার্থী সানি মিয়া বলেন , আমার বড় ভাই ভোটার হবে তাই সকল কাগজপত্র জমা দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে নির্বাচন অফিসে আসার কথা ছিল। কিন্তু ঢাকা থেকে আসতে এক ঘণ্টা দেরি হওয়ায় তারা আবার নতুন করে তারিখ দিয়েছে। এই যে ভোগান্তি তা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

সেবাপ্রার্থী লাবনী আক্তার বীথী সাথে কথা হয় তিনি বলেন, আমার নানির আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার জন্য ছয় মাস ধরে ঘুরছি। কিন্তু তারিখ অনুযায়ী নির্বাচন অফিসে এলেও তথ্য ঘাটতি রয়েছে বলে নতুন তারিখ দেয়। সেই অনুযায়ী কাগজপত্র জমা দিলেও সংশোধন হবে কি না তা বুঝতে পারছি না।

নগরের আর কে মিশন রোডের বাসিন্দা শান্ত চন্দ্র দে অভিযোগ করেন বলেন, আমি এবার নতুন ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেছি। তিন মাস যাবত জেলা নির্বাচন অফিসের বিভিন্ন কক্ষে ঘোরাফেরা করেও কোনো সমাধান পাইনি। আজ সকালে এলে তারা আবার ১৫ দিন পর আসার কথা বলে। পরে দুদক টিম অভিযোগ শুনে আগামীকালের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তির কথা বলে দেন।

সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন বার্তা বাজারকে আমরা সবসময় চেষ্টা করি শতভাগ সেবা নিশ্চিতের জন্য। প্রতিদিন সকালে সবাইকে ব্রিফিং করে কাজ শুরু করি। তারপরেও যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে সেটা আমার অজান্তে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযানের বিষয়ে দুদকের সমন্বিত বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়া বার্তা বাজারকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। সরকারি দফতরে এসে মানুষের এত হয়রানি কোনোভাবেই কাম্য নয়। সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অভিযোগগুলো নিয়ে সে অনুযায়ী কাগজপত্র সংগ্রহ করে আমরা কমিশন জমা নেব। কোনো অনিয়মের প্রমাণ পেলে কমিশন অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।