রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

সরকারি স্কুল ভর্তিতে পছন্দ সর্বোচ্চ পাঁচটি, কোটায় বড় রদবদল


সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি নীতিমালায় পছন্দের স্কুল সংখ্যা পাঁচটিতে সীমিত করা হয়েছে। ডাবল শিফট স্কুল বেছে নিলে তা দুটি পছন্দ হিসেবে গণ্য হবে। ক্যাচমেন্ট কোটা ৪০ শতাংশ বহাল থাকলেও যমজ কোটায় কমানো ও সহোদর কোটায় বৃদ্ধিসহ একাধিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২১ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন এবং ১৪ ডিসেম্বর ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হতে পারে।

১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ 

সরকারি স্কুল ভর্তিতে পছন্দ সর্বোচ্চ পাঁচটি, কোটায় বড় রদবদল
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির নীতিমালায় নতুন করে পছন্দক্রম, কোটা এবং ক্যাচমেন্ট নীতিতে একাধিক পরিবর্তন এনেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়কে পছন্দক্রম হিসেবে বেছে নিতে পারবে। তবে কোনো ডাবল শিফট বিদ্যালয়ের উভয় শিফট পছন্দ করলে সেটি দুটি পৃথক পছন্দ হিসেবে বিবেচিত হবে।

ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এ বছর সফটওয়্যারে নতুন ফিচার যোগ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পছন্দ তালিকায় যুক্ত স্কুলগুলোর মধ্য থেকে একটি চূড়ান্ত পছন্দ নিশ্চিত করতে হবে, যা অনলাইন সিস্টেমে বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ক্যাচমেন্ট নীতি ও কোটা বরাদ্দ

ঢাকা মহানগরের ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে এবারও তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান সর্বোচ্চ তিনটি সংলগ্ন থানা ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবেন। এসব এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্বের মতোই ৪০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।

কোটার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ২ শতাংশ কোটা বহাল রাখা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও তার অধীন দপ্তর–সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য মোট ১ শতাংশ কোটা পূর্ববর্তী বছরের মতো থাকলেও এবার তা ভাগ করে—মন্ত্রণালয়ের জন্য ০.৫ শতাংশ এবং অধীন দপ্তর-সংস্থার জন্য ০.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

যমজ কোটায় পরিবর্তন এনে তা ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে; অপরদিকে সহোদর কোটা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। এ দুটি কোটা সর্বোচ্চ তিন সন্তানের ক্ষেত্রে কার্যকর থাকবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

ভর্তি কমিটি

ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিন স্তরে ভর্তি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকায় মাউশির মহাপরিচালক প্রধান হিসেবে মহানগর ভর্তি কমিটির নেতৃত্ব দেবেন। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভর্তি কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন।

আবেদন ও লটারি

মাউশির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯ নভেম্বরের মধ্যে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ২১ নভেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আবেদন শেষ হলে আগামী ১৪ ডিসেম্বর ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হতে পারে। লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।