
গোয়ালন্দে ইমাম মেহেদী দাবিদার নুরাল পাগলের কবরকে
২ সপ্তাহ আগে
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৩:৫৭ অপরাহ্ণ
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় রোহিঙ্গা নারী, শিশুসহ অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন ৯ জন।
আজ শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে ৮১নং ক্লাস্টারে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভুঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আহতরা হলেন ওই ক্লাস্টারের সফি আলমের মেয়ে মোবাশ্বেরা (৩), আবদুল হাকিমের ছেলে বশির উল্যাহ (১৫), আবদুর শুক্কুরের মেয়ে রশিদা (৩), আজিজুল হকের মেয়ে জোবায়েদা (১১), আমেনা খাতুন (২৪), মোহাম্মদ তৈয়বের ছেলে সফি (১২), সফি আলমের ছেলে রবিউল (৫), আজিজুল হকের ছেলে সোহেল (৫) ও তার ছেলে রাসেল (৩)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে ক্যাম্পের ৮১ নং ক্লাস্টারের এক রোহিঙ্গা তাঁর রান্নাঘরে থাকা একটি গ্যাসের সিলিন্ডার বের করেন। সিলিন্ডারটিতে গ্যাস প্রায় শেষপর্যায়ে ছিল। অব্যবহৃত কিছু গ্যাস সিলিন্ডারে থেকে যাওয়ায় তিনি কক্ষের বারান্দায় এনে সেগুলো ছেড়ে দেন। এতে গ্যাসগুলো বাতাসে মিশে পাশের রান্না ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে অগ্নিকাণ্ড হয় ও আশপাশে থাকা নারী এবং শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়। পরে অন্য রোহিঙ্গারা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন। অগ্নিদগ্ধদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. নাহিদ হাসান বলেন, নয়জনের মধ্যে সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
ভাসানচর আশ্রয়ণের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, অব্যবহৃত কিছু গ্যাস একটি সিলিন্ডার থেকে ছেড়ে দেওয়ার কারণে বাতাসে গ্যাস মিশে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। আগুনে কোনো কক্ষের বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনায় ক্যাম্পের ইনচার্জ রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দেবেন।