বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫

রাত জাগা কেবল ক্লান্তি নয়—ডিমেনশিয়া, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাকের পথও তৈরি করছে। আজই বদলান অভ্যাস, ঘুমান নিশ্চিন্তে।


অল্প ঘুমে মস্তিষ্কের গ্লিমফ্যাটিক সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করে না, ফলে জমতে থাকে ক্ষতিকর প্রোটিন যা বাড়ায় স্মৃতিভ্রংশ ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি। ঘুমের ঘাটতিতে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে বাড়ে স্ট্রেস, রক্তচাপ, ওজন এবং হৃদরোগের সম্ভাবনা চিকিৎসকদের পরামর্শ—সুস্থ মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের জন্য প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম জরুরি।

৪ নভেম্বর ২০২৫, ৯:৫১ অপরাহ্ণ 

রাত জাগা কেবল ক্লান্তি নয়—ডিমেনশিয়া, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাকের পথও তৈরি করছে। আজই বদলান অভ্যাস, ঘুমান নিশ্চিন্তে।
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

ব্যস্ত জীবনযাপনের কারণে অনেকেই পর্যাপ্ত ঘুম ছাড়াই দিন কাটাচ্ছেন—কেউ কাজের চাপে, কেউ বা দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনে সময় কাটিয়ে। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই অভ্যাস ধীরে ধীরে শরীরের জন্য তৈরি করছে গুরুতর ঝুঁকি।

নিউরোলজিস্ট ডা. রিতু ঝা জানান, গভীর ঘুমের সময় মস্তিষ্ক সক্রিয়ভাবে ‘গ্লিমফ্যাটিক সিস্টেম’-এর মাধ্যমে বর্জ্য প্রোটিন পরিষ্কার করে। ঘুমের অভাবে এই প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে মস্তিষ্কে জমতে শুরু করে বিটা-অ্যামাইলয়েডসহ ক্ষতিকর উপাদান, যা স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

কার্ডিওলজিস্ট ডা. প্রভীন কুলকার্নির মতে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে ক্ষুধা বাড়ে, ওজন বৃদ্ধি পায়, রক্তচাপ ও স্ট্রেস হরমোন করটিসলের মাত্রা বেড়ে যায়—যা দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগ, অনিয়মিত হার্টবিট ও হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম শরীর ও মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য অপরিহার্য। তারা সতর্ক করেছেন—ঘুমকে অবহেলা করলে এর প্রভাব হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী ও কখনও কখনও প্রাণঘাতী।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস