বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫

জলবায়ুর ঝূঁকি মোকাবেলায় চার উপজেলায় কাজ শুরু


জলবায়ুর ঝূঁকি মোকাবেলায় চার উপজেলায় কাজ শুরু

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ঝূঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে মানুষের সহনশীলতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভোলার ৪টি উপজেলার দুর্গম এলাকায় কাজ শুরু করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ভোলার একটি বেসরকারি এনজিও'র সভাকক্ষে এ বিষয়ে এক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এত | ছবি: সংগৃহীত

  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ঝূঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে মানুষের সহনশীলতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভোলার ৪টি উপজেলার দুর্গম এলাকায় কাজ শুরু করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ভোলার একটি বেসরকারি এনজিও'র সভাকক্ষে এ বিষয়ে এক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, ভোলায় প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ রয়েছে যারা সব সময় বিভিন্ন দুর্যোগের সম্মুখিন হয়। তাদের বাদ রেখে জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন সম্বব নয়। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি সকল জিও এনজিও দের ও এগিয়ে আসতে হবে।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ভোলা সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল,  বিভাগীয় বণ কর্মকর্তা ড. মোঃ জহিরুল হক, জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম খান, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবীর, জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন, পরিবার উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো: কামাল উদ্দিনসহ অন্যান্যরা।

সভায় জানানো হয়,  এ প্রকল্পের আওতায় ভোলা সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জলবায়ু সহিষ্ণু আবাসন নির্মাণ, লবনাক্ততা সহিষ্ণু জীবিকায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করা হবে।

পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের গ্রীন ক্লাইমেন্ট ফান্ডের অর্থায়নে "রেজিলিয়েন্ট হোমস্টেট এন্ড লাইভলিহুড সাপোর্ট টুদ্যা ভারনালেবল কোস্টাল পিপল অব বাংলাদেশ" প্রকল্পের আওতায় ভোলার বেসরকারী এনজিও গ্ৰামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা ও পরিবার উন্নয়ন সংস্থা যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ করবে।

প্রকল্পটি বাংলাদেশের উপকূলীয় ৭টি জেলার লবনাক্ত এলাকার নারী প্রধান পরিবার, দরিদ্র, অতিদরিদ্র ও সল্প আয়ের ৮২ হাজার পরিবার নিয়ে কাজ করবে। এর ফলে ওই সব এলাকার ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৭৫ জন উপকারভোগীর পাশাপাশি পরোক্ষ ভাবে সুবিধাভোগী হবেন অন্তত ৭ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ।