আজ রাতে দেখা যাবে বছরের সবচেয়ে বড় ও উজ্জ্বল সুপারমুন
২ মে ২০২৪, ৩:৫২ অপরাহ্ণ
এপ্রিল মাসজুড়ে ভয়াবহ দাবদাহে পুড়েছে দেশ। এই সময়ে একদিকে খুবই কম বৃষ্টিপাত হয়েছে অন্যদিকে তাপমাত্রা রেকর্ড গড়েছে। দাবদাহের এমন অবস্থা গত ৭৬ বছরে হয়নি বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল। এই অবস্থায় মে মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এতে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি কালবৈশাখী এবং ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ এ,কে,এম নাজমুল হক সময় সংবাদকে জানান, মে মাসে বৃষ্টিপাত বাড়বে এবং গরমের তীব্রতা কমে আসবে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির খরব পাওয়া গেছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে বেশি এলাকাজুড়ে বৃষ্টি হয়েছে। নাজমুল হক জানান, বৃষ্টির পরিমাণ বেশি না হলেও বেশি এলাকাজুড়ে বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম এবং বরিশাল বিভাগে বৃষ্টি বেশি হতে পারে।
তবে শনিবার (৪ এপ্রিল) বৃষ্টিপাত কিছুটা কম থাকলেও ৫ তারিখে বৃষ্টিপাত বেড়ে সারাদেশে বিস্তার লাভ করতে পারে বলে জানান তিনি।
নাজমুল হক বলেন, ৫ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশেই কমবেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাপপ্রবাহ অনেক জায়গায় কমে যেতে পারে। এমনও হতে পারে যে, দেশের কোথাও হিটওয়েব নাও থাকতে পারে। দুয়েক জায়গায় থাকলেও তার মাত্রা কমে যেতে পারে।
মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে তাপপ্রবাহের তীব্রতা এপ্রিল মাসের মতো থাকবে না বলে জানান তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মে মাসে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী হতে পারে। আর দুই থেকে তিন দিন শিলা ও বজ্রবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে।
এছাড়া চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে; যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলেও সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে চলতি মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল বা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের (সিলেটসহ হাওর অঞ্চলে) নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে এবং কিছু জায়গায় তা বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।