বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫

কালবৈশাখী ঝড় মোকাবিলায় আমাদের করণীয়


১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৭:১০ অপরাহ্ণ 

কালবৈশাখী ঝড় মোকাবিলায় আমাদের করণীয়
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

কালবৈশাখী ঝড়, ঘূর্ণিঝড় কিংবা বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের অনেক করণীয় রয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এসবের প্রতি কোন গুরুত্ব দেন না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এরকম নজির রয়েছে। যে কারনে দুর্যোগ মুহূর্তে আমাদের ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই এমন মানসিকতার মানুষগুলোর একটু ভেবে দেখা উচিত এর ফলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের বোঝা দিন দিন ভারী হচ্ছে। তাই আসুন আমরা জেনে নেই, কালবৈশাখীঝড় বা অন্য যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কী করা যেতে পারে এ সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করি নিচের আলোচনা থেকে।

কালবৈশাখী ক্ষণস্থায়ী একটি ঝড়। এ ঝড় সাধারণত ১০ থেকে ৫০ মিনিট পর্যন্ত হতে পারে। তবে এর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ব্যাপক হয়ে থাকে। কালবৈশাখীতে সব পেশার মানুষই কমবেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কালবৈশাখী খুব অল্প সময়ে সংঘটিত হয় বলে ক্ষতি ঠেকাতে আগাম প্রস্তুতি নেয়া কঠিন। কালবৈশাখী সাধারণ ঝড় হলেও এতে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়। তবে নিন্মের পদক্ষেপ গুলো অনুসরন করলে ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব।

ঝড় মোকাবিলায় আমাদের করণীয়ঃ

ক. গুজব এড়িয়ে চলা। যতটা সম্ভব ধৈর্য ধারণ করা এবং আতঙ্কিত না হওয়া;

খ.  বিদ্যুৎ থাকা অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ যেসব বৈদ্যুতিক যন্ত্র আছে সেগুলো চার্জ করে রাখা;

গ. বাসগৃহে বিদ্যুৎ না থাকলে মোমবাতি অথবা কেরোসিন তেল আগে থেকে এনে রাখা;

ঘ. আবহাওয়ার খবর শুনে চলাচল করা। আবহাওয়া বার্তা যদি কোনো সতর্কতা মেনে চলতে বলে তাহলে, তাদের নিয়ম-কানুন অনুসরণ করা;

কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব


ঙ.গুরুত্বপূর্ণ কাগজ যেমন পরীক্ষার সার্টিফিকেট, নম্বরপত্র, গুরুত্বপূর্ণ বই, দলিলপত্র প্রভৃতি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং তাই সেগুলো পলিব্যাগে মুড়িয়ে রাখা;

চ. নিরাপত্তার জন্য ফাস্টএইড বক্স ঠিক আছে কি না দেখে কিংবা গুছিয়ে রাখা

ছ. অনিরাপদ বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা। ধারালো ভাঙা জিনিসপত্র সরিয়ে রাখুন। যাতে আঘাত না পান।  

জ. পানি ফুটিয়ে এবং শুকনো খাবার সংরক্ষণ করুন। যদি ঝড় দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে তখন সেগুলো ব্যবহার করা যাবে।

ঞ. গবাদি পশু ও হাঁস মুরগি নিরাপদ স্থানে রাখা যাতে ঝড়ে তাদের কোনো ক্ষতি না হয়।

ট. বসতঘরের ওপরে যদি এমন কোনো গাছ থাকে যেগুলো দেখলে মনে হয় ভেঙে পড়তে পারে সেগুলো আগে থেকেই কেটে ফেলা:

ঠ. ঝড়ের মধ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না। গুরুত্বপূর্ণ কাজে বের হলে ছাতা নিয়ে বের হওয়া;

ড. বজ্রপাতের সময় ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। বজ্রপাতে সময় যদি ঘর বা অন্যান্য জায়গায় অবস্থান করতে না পারেন তাহলে, কোনো বড় গাছের নিচে অথবা ছায়ায় অবস্থান করতে হবে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারী পর্যায়ে যে সকল সেবা গুলো রয়েছে, সেগুলোর উপর ভাল ভাবে খোঁজ খবর রাখা। কারন যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারী ভাবে বেশি বেশি সহায়তা দেয়া হয়ে থাকে।