বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫

পলিথিনের বিকল্প কিছু হোক


ডেস্ক সংবাদ, আজকের প্রসঙ্গ

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪০ অপরাহ্ণ 

পলিথিনের বিকল্প কিছু হোক
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

পলিথিন শব্দটার সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। বাজারে কিংবা দোকানে হরহামেশাই দেখা মিলে এই প্লাস্টিকের। কারণ বর্তমানে এ পলিথিন আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু। কিন্তু এটির নানা ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। আমাদের ব্যবহৃত অনেক দ্রব্যের অবশিষ্ট অংশ মাটিতে ফেললে তা মাটিতে অবস্থিত অণুজীব কর্তৃক পঁচে যায়। একটি গবেষণা অনুযায়ী, প্লাস্টিক ব্যাগ একেবারে মাটির সঙ্গে মিশে যেতে প্রায় ৪০০ বছর সময় লাগে। বলাই বাহুল্য প্রায় মূল্যহীন এই দ্রব্যটির জন্য পরিবেশকে কঠিন মূল্য দিতে হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ সংশোধন করে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে পরিবেশের উপর এর বিরূপ প্রভাব বিবেচনা করে ২০০২ সালে পলিথিন উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এই আইনের লঙ্ঘনকারীদের জন্য যথোপযুক্ত শাস্তির বিধান রাখা হলেও আইনটির বাস্তব প্রয়োগ আজ অবধি দৃষ্টিগোচর হয়নি।

পলিথিন মাটির সাথে মিশে মাটির উর্বরতা গুণ নষ্ট করে। খাল-বিল, নদী-নালার মাধ্যমে সমুদ্রে পতিত হয়ে পানিদুষণের সৃষ্টি করে। সেই দূষিত পানি যেমন সমুদ্রের জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর তেমনি মানবশরীরের জন্যও হুমকিস্বরূপ। এমতাবস্থায় কম্পোস্টেবল পলিথিন ব্যবহার একটি বিকল্প হতে পারে। এটি নবায়নযোগ্য মাধ্যম থেকে তৈরি হয় বিধায় সহজেই মাটির সাথে মিশে যায়। তাই পরিবেশের ক্ষতিও হয়না। তাছাড়াও প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে পাট থেকে উদ্ভাবিত সোনালী ব্যাগ কিংবা আলু থেকে নবায়নযোগ্য পলিথিন তৈরির প্রক্রিয়া নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তাপবিক্রিয়া ঘটিয়ে পলিথিন থেকে তেল ও জ্বালানি উৎপাদনও পরিবেশ রক্ষায় ও পলিথিনের ভয়াবহতা রোধে হতে পারে একটি যুগোপযোগী ও সঠিক সিদ্ধান্ত।