আজ রাতে দেখা যাবে বছরের সবচেয়ে বড় ও উজ্জ্বল সুপারমুন
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৬:১০ অপরাহ্ণ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে আলু ইরি চাষে সেচের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে গভীর নলকূপ মালিক বাবলু হোসেনের বিরুদ্ধে। প্রতিকার চেয়ে কৃষকদের ইউএনও নিকট লিখিত অভিযোগ।
অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের হোপপীর হাট মৌজার গভীর নলকূপের মালিক বাবলু হোসেনের গভীর নলকূপের স্কীমে আলু সেচের জন্য বিঘাপ্রতি (৩৩ শতক) ১ হাজার ৪শ টাকা ও ইরি বোরো ধান সেচের জন্য ২ হাজার মোট ৩ হাজার ৪শ টাকা আদায় করছেন। তাঁর নির্ধারিত টাকা পরিশোধ না করায় জমির সেচ বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ইরি চাষ নিয়ে বিপাকে পরেছে কৃষকরা।
জানা গেছে, র্পাশ্বর্বতী গভীর নলকূপ মালিকরা বিঘা প্রতি আলু সেচ ১ হাজার টাকা এবং ইরি/বোরো ১ হাজার ৫শত মোট ২ হাজার ৫শত টাকা আদায়ের খবর পাওয়া যায়।
উপজেলা সেচ কমিটি সূত্রে জানা গেছে বিদ্যুৎ ও ডিজেল চালিত গভীর নলকূপের ক্ষেত্রে প্রতি বিঘা আলু সেচ ৮শ, ইরি/বোরো ধান চাষে উঁচু জমির জন্য ১ হাজার ৪শ টাকা ও নিচু জমির জন্য ১ হাজার ৩শ টাকা সেচ খরচ নির্ধারণ করা হয়। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে বড়তারা ইউনিয়নকে নিচু এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
উপজেলার হোপপীর হাট এলাকার কৃষক আব্দুল মোতালেব হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, হারুন উর রশিদ, সোহলে রানা, শাজ্জাদুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিনসহ ২০-২৫ জন কৃষক বলেন, বাবলুর ব্যক্তি মালিকানা গভীর নলকূপের জমি সেচ দিতে আমাদের কাছ থেকে বিঘাপ্রতি আলু ও ইরি/বোরো সহ মোট ৩ হাজার ৪শ টাকা দাবি করেন। আমরা উপজেলা সেচ কমিটির নির্ধারিত রেট অনুযায়ী টাকা দিতে চাইলে বাবুল তা নিতে অস্বীকার করেন এবং এ মৌসুমে আলু ইরি সব টাকা পরিশোধ চায়। আমরা তা দিতে না পারায় জমিতে সেচ বন্ধ করে দেয় তিনি।
অভিযুক্ত গভীর নলকূপ মালিক বাবলু হোসেন, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, দ্রব্য মূল্য বেশি ও দিনমজুরের মূল্য বৃদ্ধি এবং নলকূপের ট্যান্সর্ফমার চুরির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাধ্য হয়ে একটু বেশি টাকা আদায় করছি।
বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ক্ষেতলালের সহকারী প্রকৌশলী মুনছুর রহমান সরদার বলেন, সেচ কমিটির কাছে সেচের অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও সেচ কমিটির সভাপতি আফতাবুজ্জামান আল ইমরান বলেন, কৃষকদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সেচ কমিটিকে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।