
গোয়ালন্দে নুরুল হকের কবর নিয়ে উত্তেজনা, প্রশাসনের
২ সপ্তাহ আগে
৯ আগস্ট ২০২৫, ৫:২০ অপরাহ্ণ
গাজীপুরে প্রকাশ্যে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। আর পাশে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য ভিডিও করছিল উৎসুক জনতা। ভুক্তভোগী সাংবাদিক তার জীবন বাঁচানোর জন্য জনতার কাছে আকুতি-মিনতি করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। একপর্যায়ে খুনিরা মৃত্যু নিশ্চিত করার পর ধারালো অস্ত্রহাতে রক্তের উৎসবে মেতে ওঠে। ওই সময় নিরীহ-নিরস্ত্র সাংবাদিক তুহিনের লাশ পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। কে বলেছে ভাই? " মানুষ মানুষের জন্যে "
এ দিকে সন্ত্রাসীদের এমন নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশজুড়ে সাংবাদিক সমাজে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারের পর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশ-বিদেশ থেকে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। অনেকে বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো খুনিদের গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। আর এ জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে সাধারন জনগনের মধ্যে উঠেছে নানা প্রশ্ন?
অপর এক ঘটনায়, গাজীপুর সদর থানার কাছে পুলিশের সামনেই প্রকাশ্যে এক সাংবাদিককে বেদম মারধর এবং ইট দিয়ে পা থেঁতলে দেয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা আনোয়ারা সুলতানা বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি দাবি করেন, চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় তার ছেলের ওপর মামলা হয়েছে।
সাংবাদিক তুহিন হত্যা নিয়ে এলাকাবাসী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা মোড়ের ঈদগাহ মার্কেট এলাকায় গোলাপি নামে এক নারী বাদশা নামের একজনকে প্রলোভনে (হানিট্র্যাপ) ফেলে। তার সাথে থাকা সশস্ত্র যুবকরা বাদশাকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকে। কাছাকাছি দাঁড়িয়ে এমন একটি লোমহষক ঘটনার ছবি মোবাইলে ধারণ করছিলেন সাংবাদিক তুহিন। এ সময় হামলাকারীরা তার ওপর চড়াও হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তাঁকে।
দেশজুড়ে বার বার সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে হত্যা এবং হামলার শিকার হচ্ছে সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। এইসব সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নেপথ্যের নায়কদের খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর নজরদারী বাড়ানোর পাশাপাশি সাংবাদিক তুহিনের হত্যাকারীদেরকে অতি দ্রুত আইনের কাঠগড়ায় দাড় করানোর কথা জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।