বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সর্বাধিক পঠিত

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স

ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না পেশাদার চালকদের ডোপ টেস্টে


১৩ আগস্ট ২০২৫, ৮:৫৪ অপরাহ্ণ 

ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না পেশাদার চালকদের ডোপ টেস্টে
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

পেশাদার চালকদের ডোপ টেস্ট ভোগান্তি “পরিবহন খাতের নেতারা ঘোষণা দিয়েছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে চালকদের মাদক পরীক্ষা শুরু হবে। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর এই প্রকল্পের বিষয়ে ঘোষণা দিয়ে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জানান, ধারণা করা হয়, রাজধানীর প্রায় অর্ধেক গণপরিবহনের চালক বিভিন্ন ধরনের মাদকে আসক্ত।”

যে কারনে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে বা নবায়ন করতে ৩০ জানুয়ারি ২০২২  থেকে সরকার-অধিভুক্ত হাসপাতাল বা ল্যাবরেটরি থেকে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

যারা মাদকাসক্ত নন, তারাই কেবল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছ থেকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। বাণিজ্যিক পরিবহন, ভাড়ায় চালিত গাড়ি অথবা সরকারি বাহনের চালক হিসেবে কাজ করতে হলে পেশাদার লাইসেন্স থাকা আবশ্যক।

মাদক পরীক্ষা সব জেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতাল, ঢাকা শহরের ৬টি হাসপাতাল ও সরকারের মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অনুমোদিত সব ল্যাবরেটরিতে মাদক পরীক্ষা করা যাবে।

পাশাপাশি ঢাকার ৬টি হাসপাতালে —ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।

পেশাদার চালকদের ডোপ টেস্টে শুরু থেকেই নানা বিতর্ক ও অনিয়ম দুর্নীতির কথা উঠে আসলেও বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ ডোপ টেস্টের ব্যাপারে তেমন কোন উদ্যোগ এখন পর্যন্ত গ্রহণ করেনি। যে কারনে পেশাদার চালকদের ডোপ টেস্ট সমস্যাটি দিন দিন প্রকট আকার ধারন করেছে ।

রাজধানীতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছে ডোপ টেস্ট করতে আসা পেশাদার চালকরা এমন তত্তের ভিত্তিতে আজকের প্রসঙ্গের অনুসন্ধানী টিম ঢাকা শহরের সরকার-অধিভুক্ত হাসপাতালগুলোতে প্রতিবেদন সংগ্রহ করতে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রাহক তাদের ভোগান্তি ও হয়রানির বর্ণনা দিতে গিয়ে অনেকে কেঁদেছে এবং বিলাপ করে বলছেন কেন গরীবের পেটে বার বার  লাথি মারছেন!

গত কয়েক মাস ধরে সরকার-অধিভুক্ত অধিকাংশ হাসপাতাল গুলোর সামনে লেখা রয়েছে কীট নেই তাই ডোপ টেস্ট কার্যক্রম হচ্ছে না, আবার কোনোটাতে চালু থাকলেও ৩০ জনের বেশী প্রতিদিন নেয়া হচ্ছে না , আর এজন্য দূর দুরান্ত থেকে আসা পেশাদার চালকদের ভোগান্তি বাড়ছে প্রতিনিয়ত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পেশাদার চালক বলছেন, রাজধানীর ৩ টি হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডোপ টেস্ট করেছি এবং এতে খরচ হয়েছে ৩০০০(তিন) হাজার টাকা। তিনি আরোও বলেছেন শুনেছি ১০০০ এক হাজার টাকা লাগে এখন দেখি ৩০০০(তিন) হাজার এ কেমন কথা? এত টাকা কোথায় পাব ? এই কথা গুলো অনেক আক্ষেপ করে বলছিলেন তিনি।

তবে সবশেষে কথা হচ্ছে পেশাদার চালকদের ডোপ টেস্ট কার্যক্রমের সাথে যে যে প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যাক্তিদের নজরদারী বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন সমাজ সচেতন নাগরিকরা।

ডোপ টেস্টের আরো খবর জানতে চোখ রাখুন আগামী পর্বে-----