জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন সুলতানা রাজিয়া
রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
১৬ জুলাই ২০২৩, ৩:১৩ অপরাহ্ণ
সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য নিরসনে জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। দাবি আদায়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা ৬ষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। দাবি না মানা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির আহ্বানে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। লাগাতার কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষক নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা আন্দোলন করে এলেও তাদের দাবি উপেক্ষিত রয়েছে। তাই সরকারী ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত, প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
তারা বলেন, সরকারী চাকরিজীবীদের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক বৈষম্য পাহাড়-সমান। আজকে কোরবানি এসে যায়, আমাদের বেতন হয় না। বোনাস যা দেয়, তা সামান্য। অন্যান্য চাকরিজীবীরা বোনাসের টাকাতেই কোরবানি দিতে পারে। আর আমাদেরকে কোরবানি দিতে গেলে টাকার জন্য ঘুরতে হয়।
দক্ষিণ সুরমা সিলেটের- হযরত শাহজালাল (রঃ) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার পাল বলেন, মাধ্যমিক স্কুলকে জাতীয়করণ করা কোনো কঠিন কাজ না। এটা সদিচ্ছার অভাব। আমি সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের এই বৈষম্যের অবসান চাই।
দীর্ঘদিন ধরে নবাবগঞ্জ হরেকৃষ্ণ কুসুমকলি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে আসছেন আরফান আলী সরকার। তিনি বলেন, আমরা নামমাত্র সেকেন্ড ক্লাস। কাজে না। যারা চতুর্থ শ্রেণীর চাকরি করে, তারাও ৫০ শতাংশ বোনাস পায়। আর আমরা পাই ২৫ শতাংশ।
ভোলা সদরের কবি মোজাম্মেল হক মহিলা কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ প্রভাষক মাহবুব সাদিক বলেন, আমাদের এক দফা, এক দাবি। জাতীয়করণ। কারণ এটা হলেই বাকি সব হয়ে যাবে। বাড়ি ভাড়া, বোনাস এবং বদলিই আমাদের মূল চাওয়া। আমার বাড়ি টাঙ্গাইল, কিন্তু চাকরি ভোলা। আমি চাইলেও ট্রান্সফার হতে পারব না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণ হলে এসব সমস্যা থাকবে না।
বিটিএ সাধারণ সম্পাদক জনাব মো: কাওসার আহমেদ বলেন, আমার কথা খুব ক্লিয়ার। জাতীয়করণ চাই।