জাজিরা থানার ওসি আল আমিনের রহস্যজনক মৃত্যু: মরদেহ ঝুলছিল শয়নকক্ষের জানালার সঙ্গে
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫
৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ৫:২১ অপরাহ্ণ
আজান আরবি শব্দ। ইসলামের ফরজ বিধান নামাজ আদায়ের জন্য বিশেষ আহ্বানকে আজান বলা হয়। দিনে পাঁচবার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য মুয়াজ্জিন আজান দিয়ে থাকেন। আজান মুসলিমদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ফরজ বিধান নামাজ আদায়ের জন্য আজান দেয়া হয়। যিনি আজান দেন তাকেই মুয়াজ্জিন বলা হয়। নামাজের যেমন গুরুত্ব রয়েছে, ঠিক তেমনি আজানেও গুরুত্ব রয়েছে।
মুয়াজ্জিন যখন আজান দিবেন তখন জবাব দেয়া সুন্নাত। আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি হলো, মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। কিন্তু মুয়াজ্জিন যখন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময় শ্রোতা ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলবে। এটাই বিশুদ্ধ অভিমত। (মুসলিম ৩৮৫) তবে কোনো কোনো বর্ণনায় ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময়ও মুয়াজ্জিনের অনুরূপ বলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। (কিতাবুদ দোয়া, তাবারানি, হাদিস : ৪৫৮)
মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। কিন্তু মুয়াজ্জিন যখন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময় শ্রোতা ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলবে। এটাই বিশুদ্ধ অভিমত। (মুসলিম ৩৮৫) তবে কোনো কোনো বর্ণনায় ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময়ও মুয়াজ্জিনের অনুরূপ বলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। (কিতাবুদ দোয়া, তাবারানি, হাদিস : ৪৫৮)
আজানের উত্তর দেয়া সুন্নত। আজান শ্রবণকারী মৌখিকভাবে জবাব দিবে। রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, যখন তোমরা আজান শুনবে, এর জবাবে মুয়াজ্জিনের অনুরূপ তোমরাও বলবে। আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি হলো, মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। যেমন মুয়াজ্জিন যখন বলবে, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার শ্রোতাও এটাই বলবে, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার।
এভাবে মুয়াজ্জিন যা যা বলবে শ্রোতাও তাই বলবে। (মুসলিম ৩৮৫) তবে কোনো কোনো বর্ণনায় ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময়ও মুয়াজ্জিনের অনুরূপ বলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। (কিতাবুদ দোয়া, তাবারানি, হাদিস : ৪৫৮)
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, মহনবী (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে মুয়াজ্জিন যা বলে তাই বলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সুনানে আন-নাসাঈ)। এছাড়া, মহানবী (সাঃ) আরও বলেছেন, যখন তোমরা আযান শুনবে, এর জবাবে তোমরাও মুয়াজ্জিনের অনুরূপ বলবে। (বুখারি)।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান আনসারী (রহঃ) হতে বর্ণিত, আবু সায়িদ খুদরি (রাঃ) তাকে বলেন, আমি দেখেছি তুমি বকরি চরানো, বন জঙ্গলকে ভালোবাসো, নামাজের জন্য আজান দাও। তখন উচ্চকণ্ঠে আজান দাও। কেননা জিন, ইনসান বা যেকোনো বস্তু যতদূর পর্যন্ত মুয়াজ্জিনের আজান শুনবে, সে কিয়ামতের দিন তার পক্ষে সাক্ষ্য দেবে। তখন আবু সায়িদ (রাঃ) বলেন, এ কথা আমি মহানবী (সাঃ) এর কাছে শুনেছি। (বুখারি)।
আজানের জবাব দেয়া অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ আমল-যা আলেমদের সর্বসম্মতি মতে মুস্তাহাব। ইবনে কুদামা বলেন, এটি মুস্তাহাব হওয়ার ব্যাপারে আহলুল ইলমদের মধ্যে কোনও দ্বিমত আছে বলে জানি না। (আল মুগনি ১/৫৯১)
এ বিষয়ে হাদিস হল, আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমরা আজান শুনতে পাও তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও তার অনুরূপ বলবে। (বুখারি ৩৯৯)
যত ব্যস্ততাই থাকুক, আজান শুনলে সুন্নত পালনার্থে আজানের জবাব দেয়ার চেষ্টা করা কর্তব্য। এ ক্ষেত্রে অলসতা করা উচিত নয়। কেউ যদি জবাব দেয় তাহলে সে সুন্নতের উপর আমল করার কারণে সওয়াব পাবে কিন্তু না দিলে কোনও গুনাহ নেই। তবে জবাব দেয়ার সাথে সালাত শুদ্ধ হওয়ার কোনও সম্পর্ক নাই।
কেননা আজানের জবাব দেয়া এবং সালাত প্রত্যেকটি স্বতন্ত্র আমল। একটি অপরটির উপর নির্ভরশীল নয়। সুতরাং কেউ যদি আজানের জবাব না দেয় তাতেও সালাতের কোনও ক্ষতি হবে না।
আজানের পর রাসুল (সাঃ) একটি দোয়া পড়তে বলেছেন। দোয়া পাঠের অনেক ফজিলতও তিনি বর্ণনা করেছেন। اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّداً الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامَاً مَحمُوداً الَّذِي وَعَدْتَهُ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রববা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ, ওয়াস সালাতিল কাইমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাহ, ওয়াবআছহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াআদতাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব। মুহাম্মদ (সাঃ) কে (জান্নাতে প্রবেশের) মাধ্যম (সবার মধ্যে বিশেষ) সম্মান দান করুন। তাকে প্রশংসিত স্থানে পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাকে দিয়েছেন।
আজানের পর রাসুল (সাঃ) একটি দোয়া পড়তে বলেছেন। দোয়া পাঠের অনেক ফজিলতও তিনি বর্ণনা করেছেন। اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّداً الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامَاً مَحمُوداً الَّذِي وَعَدْتَهُ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রববা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ, ওয়াস সালাতিল কাইমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাহ, ওয়াবআছহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াআদতাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব। মুহাম্মদ (সাঃ) কে (জান্নাতে প্রবেশের) মাধ্যম (সবার মধ্যে বিশেষ) সম্মান দান করুন। তাকে প্রশংসিত স্থানে পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাকে দিয়েছেন।
আজানের দোয়া পাঠের অনেক ফজিলত রাসুল (সাঃ) বর্ণনা করেছেন। হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আজান শুনে উল্লিখিত দোয়া পড়বে কিয়ামতের দিন তার জন্য আমার সুপারিশ থাকবে। (বুখারি ৬১৪)