বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ভূমিকম্প নিয়ে নতুন শঙ্কা!


৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ৩:৫২ অপরাহ্ণ 

ভূমিকম্প নিয়ে নতুন শঙ্কা!

বিশেষজ্ঞদের তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে ১৩টি চ্যুতি লাইন রয়েছে | ছবি: আজকের প্রসঙ্গ

  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

বাংলাদেশ দিন দিন ভূমিকম্প প্রবণ হয়ে উঠছে। জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে একের পর এক ভূকম্পন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের জলভাগ কিংবা স্থলভাগ, যেকোনো জায়গা, যেকোনো মুহূর্তে হয়ে উঠতে পারে বড়মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু। শিগগিরই সঠিক পরিকল্পনা না নিলে, ভয়াবহ মাশুল গুনতে হতে পারে!

চলতি বছর একের পর এক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশ। কোনোটার তীব্রতা বেশি, আবার কোনোটার কম। সরকারি হিসাবে, গত এক বছরে দেশে আঘাত হানা ভূমিকম্পের ৫টিরই উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশ। যদিও বেসরকারি সংস্থাগুলোর হিসাব বলছে, এর সংখ্যা ১০০টির বেশি। একের পর এক ঘটে যাওয়া এ ভূকম্পন নিঃসন্দেহে মাথা ব্যথার কারণ।

মূলত স্থলভাগই বেশিরভাগ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হয়ে থাকলেও এবার নতুন শঙ্কা তৈরি করেছে গতকাল শনিবারের (০২ ডিসেম্বর) ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ছিল এর উৎপত্তিস্থল। তবে কি নদীর নিচে কেন্দ্রস্থল হওয়ায় এটি ভূমিকম্পের ভিন্ন কোনো সংকেত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলভাগ আর স্থলভাগ যেকোনো জায়গায় ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হতে পারে। শুধু গভীর সমুদ্রে ভূকম্পন হলেই তার প্রতিক্রিয়া হবে ভিন্ন।

আরও পড়ুন

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান

বাংলাদেশ ভূমিকম্প সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, গভীর সমুদ্রে ভূকম্পন হলে তার প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হবে। গতকাল শনিবার (০২ ডিসেম্বর) যে ভূমিকম্পটা হয়েছে, সেটা চরে। ওইটা ভূমির মধ্যেই পড়ে। গভীর সমুদ্র হলে পানিটা ধাক্কা দিয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু চর হলে খুব একটা অসুবিধা নেই। মানে হলো চর ও স্থল মোটামুটি একই।

গবেষণা বলছে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বড় ঝুঁকিতে আছে। ছোট ও মাঝারি মাত্রার এসব ভূমিকম্পে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ধ্বংস হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ঐতিহাসিকভাবে আমাদের এখানে ভূমিকম্প ছিল। গত ১০০ বা দেড়শো বছরে ওরকমভাবে হয়নি। কিন্তু আবার সেটা হওয়ার আশঙ্কা এসে গেছে। হয়ত আজ বা কাল হবে না, কিন্তু ওইটা হবে।

আরও পড়ুন

৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপাইন, সতর্কতা জারি

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বড় ধরনের শক্তিমাত্রা সঞ্চিত হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে, এরকম ছোট ছোট ভূমিকম্পের মাধ্যমে সেই শক্তিমাত্রা রিলিজ করে।

সচেতনতার পাশাপাশি পূর্বাভাসহীন এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে করণীয় ও পরবর্তী সতর্কতা মাথায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর পরিকল্পনা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।