সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫

একদিন হাজিরা দিয়ে বেতন নিচ্ছেন পুরো মাসের


কর্মস্থলে মাসে একবার আসেন স্বাস্থ্য সহকারী সুরভী খানম

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ৭:২৬ অপরাহ্ণ 

একদিন হাজিরা দিয়ে বেতন নিচ্ছেন পুরো মাসের

স্বাস্থ্য সহকারী সুরভী খানম | ছবি: আজকের প্রসঙ্গ

  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার গোপালপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী সুরভী খানম। তিনি তাঁর কর্মস্থলে প্রতি মাসে একবার আসেন। আর এসেই সাক্ষর দিয়ে বেতন নিয়ে চলে যান এমন অভিযোগের খবর উঠেছে।

নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। প্রতিটি ক্লিনিকে একজন সিএইচসিপি, একজন পরিবার পরিকল্পনাকর্মী এবং একজন স্বাস্থ্য সহকারী আছেন। নিয়ম অনুযায়ী সিএইচসিপি কর্মীরা সরকারি বন্ধের দিন ছাড়া বাকি দিনে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিবার পরিকল্পনা কর্মী ও স্বাস্থ্য সহকারীদের সপ্তাহে দুই দিন ক্লিনিকে এবং অন্য দিনে মাঠে কাজ করার নির্দেশনা রয়েছে। অথচ সুবিদপুর ইউনিয়নের গোপালপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী সুরভী খানম মাসের প্রথম দিকে অথবা শেষের দিকে একদিন ক্লিনিকে এসে হাজিরা খাতায় পুরো মাসের সাক্ষর করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোপালপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী সুরভী খানম বরিশাল শহরে বসবাস করেন। তাই তিনি মাসে দুএকদিন নিজ প্রয়োজনে ক্লিনিকে আসেন। তবে সেখান থেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক মাধবী রানীর  যোগসাজশে প্রতি মাসের বেতন তুলে নেন।

গোপালপুর এলাকার স্থানীয়রা জানান, ক্লিনিকে এসে আমরা নিয়মিত সেবা পাই না। এই ক্লিনিকে সিএইচসিপি হাফসা আক্তার ও স্বাস্থ্য সহকারী সুরভী খানম দায়িত্বে আছেন। তারমধ্যে সুরভী একেবারেই ক্লিনিকে আসে না। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাদের ম্যানেজ করেই তিনি প্রতি মাসে বেতন নিচ্ছেন।  

স্বাস্থ্য সহকারী সুরভী খানম তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই মাসে আমাদের ক্লিনিকে কোন কাজ নাই। আমাদের মাঠে কাজ থাকে সেখানে থাকি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শিউলি পারভীন বলেন, ওখানের যে সিএইচসিপি রয়েছে সে আমাকে কিছু জানায়নি। আমি তাকে জিজ্ঞেস করবো কি কারণে স্বাস্থ্য সহকারী সুরভী খানম ক্লিনিকে আসে না।

ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম বলেন, চাকরিস্থলে না গিয়ে বেতন নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। বিষয়টি আমি খোঁজ নিচ্ছি।