বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫

‘টাকা পে’ কার্ড কী, এটি কীভাবে কাজ করবে?


৪ নভেম্বর ২০২৩, ১:১৪ অপরাহ্ণ 

‘টাকা পে’ কার্ড কী, এটি কীভাবে কাজ করবে?
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

‘টাকা পে’ কার্ড হল এক ধরনের ডেবিট কার্ড। এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ব্যাংক ইস্যু করতে পারবে। নিয়ন্ত্রণ থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে। এই কার্ডের মাধ্যম প্রচলিত কার্ড (ভিসা, মাস্টার) এর মত লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহকরা।

গত বুধবার (০১ নভেম্বর) চালু হয়েছে দেশের প্রথম নিজস্ব ন্যাশনাল কার্ড স্কিম ‘টাকা পে’। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মাধ্যমে দেশে বিদেশি কার্ডের ওপর নির্ভরতা কমার পাশাপাশি ব্যাপক বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।

‘টাকা পে’ কার্ডের ধরন হবে ভিসা ও মাস্টারকার্ডের মতো। প্রাথমিকভাবে ‘টাকা পে’ কার্ড চালু করা হয়েছে দেশে অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য। ক্রমান্বয়ে এর মাধ্যমে টাকা-রুপি কার্ডও চালু করা হবে, যার মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ ভারতে লেনদেন করা যাবে।

নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি পুরোনো ব্যাংক অ্যাকউন্টেও ‘টাকা পে’ কার্ডের মাধ্যমে সেবা নেওয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিপরীতে আগের নেওয়া ডেবিট কার্ডটি স্থগিত করে ‘টাকা পে’ কার্ডের সেবা নেওয়া যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম 'ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ' ব্যবহার করে জাতীয়ভাবে একই সেবা দেবে ‘টাকা পে’ কার্ড। বিদ্যমান ব্যাংক হিসাবের বিপরীতেও এই ‘টাকা পে’ কার্ড নিতে পারবেন গ্রাহকরা।

প্রথমে ৮টি ব্যাংক পাইলটভিত্তিতে ‘টাকা পে’ কার্ড ইস্যু করবে। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য ব্যাংকও ইস্যু করতে পারবে। ব্যাংকগুলো হলো: ব্র্যাক ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক।

প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক, বেসরকারি খাতের দি সিটি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক ইতিমধ্যে ‘টাকা পে’ কার্ড সেবা চালু করেছে।

ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভিসা ও মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে যেসব সেবা পাচ্ছে, একই সেবা ‘টাকা পে’ কার্ড দেবে।

গত শুক্রবার (২ জুন) বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড প্রণয়নের উদ্যোগের কথা জানান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ওই সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে ভিসা, মাস্টার বা বাইরের কোম্পানিগুলোর ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড আছে। আমাদের নিজস্ব কোনো কার্ড ছিল না। এর ইউজার ছিল রেস্ট্রিকটেড। যে ফি দেওয়া হয়, এটা অনেকটা বাইরে চলে যায়। আমরা ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড তৈরি করছি। সব ব্যাংক ও ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন এক কার্ড ব্যবহার করবে। এটার প্রচলন হলে আমরা মনে করি নগদ টাকার পরিবর্তে ‘টাকা পে’ কার্ডের ব্যবহার বেড়ে যাবে।'

গভর্নর আরও জানান, ‘টাকা পে’ কার্ড থাকলে গ্রাহকেরা বাংলাদেশে এটিকে ডেবিট কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। যেকোনো কেনাকাটা করতে পারবেন। আবার যখন ভারতে যাবেন, তখনো ‘টাকা পে’ কার্ড দিয়েই ভ্রমণ কোটায় ১২ হাজার ডলার খরচ করতে পারবেন।