শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫

মির্জা আব্বাস ৫ দিনের রিমান্ডে


১ নভেম্বর ২০২৩, ৪:৫৮ অপরাহ্ণ 

মির্জা আব্বাস ৫ দিনের রিমান্ডে
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় করা মামলায় এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১ নভেম্বর) মির্জা আব্বাসকে  দেড়টার দিকে ঢাকার আদালতে হাজির করার পর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক নূর ইসলাম। আদালত বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অন্যদিকে মির্জা আব্বাসের আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন। আদালতে শাহজাহানপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার একটি মামলায় গতকাল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় বাদী হয়ে ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করা হয়। মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

ওই মামলায় মির্জা আব্বাসকে আজ বেলা দেড়টার দিকে ঢাকার আদালতে আনে ডিবি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ।

আদালতে শুনানিতে মির্জা আব্বাস বলেন, তাঁর ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে তিনি বহু মিটিং, আন্দোলন করেছেন। এরশাদ সরকারের পতনও ঘটিয়েছেন। বিগত ১৫ বছর ধরে বিএনপি আন্দোলন করছে। কোথাও কি দেখেছেন, এমন কোনো গন্ডগোল হয়েছে? নেতৃত্ব শূন্য করার জন্যই ষড়যন্ত্র চলছে। এমন এক সময় আসবে, যখন নেতা থাকবে না। নেতৃত্ব শূন্য করে দেওয়া হবে। তাঁদের মতো নেতাদের শেষ করে দেওয়া হবে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ ওরফে আব্বাসের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আসামিরা বেআইনিভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্লোগান দেয়। তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে শাহজাহানপুর থানাধীন এলাকায় বিভিন্ন প্রকার নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেন তারা। এ সময় আসামিরা পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।