ফরিদপুর জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ অনুষ্ঠিত
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫
৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৫৭ অপরাহ্ণ
আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার শহীদবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির প্রধান হারুন অর রশিদ।
ডিবির প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, তারা পুলিশ হত্যা মামলার আসামি। তাদের গ্রেপ্তার করে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।
এর আগে গত রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তাঁর গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রবিবার রাতে কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকাল থেকেই শাহজাহানপুরের ওই বাসা ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। সারাদিন ওই এলাকায় নজরদারি ছিল পুলিশের। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দেড় দশক আগের এক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। মির্জা আব্বাসের আবেদন খারিজ করে মঙ্গলবার এ আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম।
পরে আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। আর মামলা অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন সংস্থাটির পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ তারিখের সমাবেশে তিনি ছিলেন। সেখানে পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। যে কারণে আজ এ মামলায় সাফাই সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে আসতে পারেননি। তাঁর অসুস্থতার বিষয়টি উল্লেখ করে সময় চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত সময় না দিয়ে আবেদনটি নামঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
অপর দিকে, দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, সাফাই সাক্ষী হিসেবে আজ মঙ্গলবার তাঁর সাক্ষ্য দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। তাঁর পক্ষে সময় আবেদন করা হয়েছিল। আদালত আবেদনটি নামঞ্জুর করে সাফাই সাক্ষী সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। সেই সঙ্গে আগামী ২ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ দিয়েছেন।
সাবেক পূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন সাত কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট মামলা করে দুদক।
তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা। তদন্ত তার বিরুদ্ধে চার কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরু করেন আদালত। এ মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।