সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি গণতন্ত্র রক্ষা নয়, ধ্বংসের জন্য লড়াই করছে। আওয়ামী লীগ শান্তি চায়। অশান্তি চাইলে বিএনপি এতদিনে একটা সমাবেশও করতে পারত না। ২৮ অক্টোবর শান্তির নামে অশান্তি করতে এলে এবার আর ছাড় দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আগামী ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। একই দিন বিএনপির মহাসমাবেশ রয়েছে।

সে সময় তিনি আরও বলেন, দিনক্ষণ দিয়ে আন্দোলন হয় না। পৃথিবীর কোনো দেশে দিনক্ষণ দিয়ে আন্দোলন সফল হয়নি। আমাদের দেশেও ৬৯ ও ৯০-এর আন্দোলন দিনক্ষণ দিয়ে হয়নি। ভুল পথে চলার কারণে এবারও বিএনপির আন্দোলন খাদে পড়বে।

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তি চায়। আমরা ক্ষমতায়। অশান্তি কেন চাইব? তবে এবার অশান্তি করতে এলে দেখিয়ে দেব অশান্তি কাকে বলে।

তিনি নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর উত্তাল সমুদ্র দেখতে চাই। বিক্ষুব্ধ বঙ্গোপসাগরের গর্জন শুনতে চাই। আমরা শান্তি চাই। তবে কেউ অশান্তি করতে এলে খবর আছে। আমরা অনেক সহ্য করেছি। সহ্যের সীমারেখা আছে। ৪০ দল নিয়ে সমাবেশ করবে। স্বপ্ন রে স্বপ্ন! বিএনপির রঙিন সে খোয়াব, বেলুন চুপসে যাবে, একটু অপেক্ষা করুন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন, তা অবাক করার মতো।

আওয়ামী লীগ একশ' বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলে ক্ষমতায় থাকতে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, এখন আমরা ক্ষমতায় আছি। আওয়ামী লীগ সংগ্রাম আন্দোলন করে এতদূর পথ এসেছে। আমাদের ভয় দেখাবেন না।

কেউ যদি অশান্তি করতে চায় তাদের খবর আছে; উল্লেখ করে তিনি বলেন, সহ্য অনেক করেছি, সহ্যের একটা সীমা আছে। অশান্তি হলে ছাড় দেওয়া হবে না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার 'মাস্টারমাইন্ড'। অবলা নারী, শিশুসহ হত্যার কারণে আওয়ামী লীগের মনে অনেক বেদনা আছে। ক্ষমতাসীন দল হয়ে দলের কর্মীরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছে।

অতীতে বিএনপি প্রহসনের নির্বাচন করেছে এবং ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা গণতন্ত্রকে গলা টিপে মেরেছে, সেই দলের লজ্জা হওয়া উচিত।

বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ায় শেখ হাসিনা শোক জানাতে গিয়েছিলেন, কর্ণপাত করেনি। ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। সেই দলের সঙ্গে কীভাবে সমঝোতা করি। আওয়ামী লীগের আমলে কি বিএনপি কোনো নেতাকে হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়েছে?

মঙ্গলবারের (২৪ অক্টোবর) বিশেষ এ বর্ধিত সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।