শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৭


২২ অক্টোবর ২০২৩, ১:২৮ অপরাহ্ণ 

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৭
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

রাজধানীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীসহ পটুয়াখালীর কুয়াকাটা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত প্রাইভেট কার, র‌্যাবের জ্যাকেট, হ্যান্ডকাপ, খেলনা পিস্তল, ওয়ারলেস সেট, মোবাইল ফোন ও ডাকাতির দুই ভরি ছয় আনা স্বর্ণালংকারসহ লুন্ঠিত নগদ ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।  

গ্রেপ্তারকৃত ৭ জন হলেন মো. সবুজ মিয়া ওরফে শ্যামল (৩৯), মো. সাহারুল ইসলাম ওরফে সাগর (২৩), আবু ইউসুফ (৪১), দিদার ওরফে দিদার মুন্সী (৩৫), মো. ফেরদৌস ওয়াহীদ (৩৫), মো. আলামিন দুয়ারী ওরফে দিপু (৪২) ও মো. দাউদ হোসেন মোল্যা (৩৯)।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রিফাত রহমান শামীমের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে এবং অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার এসএম রেজাউল হকের নেতৃত্বে ডিবির ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করে।

রাজধানীতে দিনে দুপুরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনায় র‍্যাব পরিচয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের অপহরণ করে হাতিয়ে নেয়া হয় ৪৮ লাখ টাকা। চলতি মাসের ১০ তারিখ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর উত্তরার আল আরাফা ব্যাংক থেকে ৮৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন মাদার টেক্সটাইল নামের একটি কোম্পানির কর্মকর্তারা। এরমধ্যে, ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ওই কোম্পানির একজন অংশীদারকে দিয়ে বাকি ৪৮ লাখ টাকা নিয়ে সাদা রঙের প্রাইভেটকারে চড়ে বনানীর উদ্দেশে রওনা হন তারা।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে কিছুক্ষণ চলার পর মেরুন রঙের একটি প্রাইভেট কার তাদের গাড়ি থামাতে সিগন্যাল দেয়। এরপর শুরু হয় ডাকাতদের তৎপরতা। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বিকেল চারটার দিকে তাদের গাড়ি থামিয়ে ৫-৬ জন ডাকাত র‌্যাব পরিচয় দিয়ে কোম্পানির লোকদের অবৈধ অস্ত্র আছে বলে অনিমেশ চন্দ্র সাহা  ও শাহজাহান মিয়াকে হাতকাড়া লাগায় এবং চোখ বেধে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। তাদের কোম্পানির একটি ব্লাঙ্ক চেক ও তাদের ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।

তারা গাড়িতে উঠেই ভুক্তভোগী দুজনকে হাতকড়া লাগিয়ে চোখ, মুখ বেঁধে ফেলে। ভুক্তভোগীদের বর্ণনা অনুযায়ী, এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ঘুরিয়ে তারা গাড়ি নিয়ে ৩০০ ফিট রাস্তায় চলে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে গাড়িয়ে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে সন্ধ্যার দিকে তাদেরকে বোয়ালিয়া ব্রিজের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়।

এসময় তাদের কাছে থাকা ৪৮ লাখ টাকা, মোবাইল সেট, কোম্পানির খালি চেকবই ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। অপহৃত অবস্থা থেকে ছাড়া পেয়ে ভুক্তভোগীরা রাজধানীর খিলখেত থানায় এ নিয়ে মামলা করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, মামলার বাদির বক্তব্য, সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ ও ডাকাত দলটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম। পরে ২১ ও ২২ অক্টোবর ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসহ ঢাকা মহানরীর খিলক্ষেত ও ভাটারা থানাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে মামলার ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের ৭ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।