বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫

ইসরায়েলিদের হাতে নিহত ছেলের জন্য মায়ের গর্ব


১৩ অক্টোবর ২০২৩, ৮:০৮ অপরাহ্ণ 

ইসরায়েলিদের হাতে নিহত ছেলের জন্য মায়ের গর্ব
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

বিশ্ববাসীর কাছে ফিলিস্তিন যুদ্ধ মানে এক নারকীয় বর্বরতার নাম। লেবাননের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক শক্তি হিজবুল্লাহ শুক্রবার দেশজুড়ে গাজার সমর্থনে সমাবেশ করেছে। কারণ হামাস আরববিশ্বজুড়ে সংহতির আহ্বান জানিয়েছে।

দক্ষিণ লেবাননের বুর্জ আল-শেমালির ফিলিস্তিনি শরণার্থীশিবিরে লোকেরা বিকেলে সমাবেশ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ক্যাম্পটি ইসলামিক জিহাদসহ বিভিন্ন ফিলিস্তিনি দলের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

বিবিসির একজন প্রতিবেদক যার নাম ' হুগো বাচেগা ' তিনি সেই দলের একজন যোদ্ধার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে ওই ক্যাম্পে যান, যিনি সোমবার ইসরায়েলে প্রবেশ করেছিলেন। পরে তিনি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর হাতে নিহত হন। শনিবার হামাস ইসরায়েলে হামলার পর থেকে সীমান্ত বরাবর ইসরায়েল ও লেবাননের যোদ্ধাদের সঙ্গে জড়িত কয়েকটি ঘটনার মধ্যে এটি একটি।

নিহত ওই যোদ্ধার মা আজব মুসা (৪৫) বলেন, তিনি তার ২২ বছর বয়সী ছেলে হামজার জন্য ‘গর্বিত’। তিনিই তাকে আক্রমণ করতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ‘উৎসাহিত করেছিলেন’।
আজব জানান, তার ছেলে কী করতে যাচ্ছেন সে সম্পর্কে তাকে বলেছিলেন। এ সময় তিনি তার ছেলের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং নিশ্চিত করেছেন, তার ছেলে যেন হাল ছেড়ে না দেন। নিহত যোদ্ধার মা আরও বলেন, ‘যদি আমার ১০টি ছেলে থাকত, আমি তাদের সবাইকে একই কাজ করতে পাঠাতাম। কারণ আমাদের জমি পুনরুদ্ধার করতে হবে।’

গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পরিবারটি ২০১১ সালে সিরিয়া থেকে লেবাননে পৌঁছেছিল। তারা যে জায়গাকে ফিলিস্তিন বলে ডাকে সেখানে তারা আর কখনো যায়নি। এদিকে হামজার ভাই, ২০ বছর বয়সী মোহাম্মদ বলেছেন, তিনি কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত নন। তবে তিনি তার ভাই যা করেছেন সে রকম কিছু করতে চান। সেখানকার প্রতিটি মানুষ তার ভাইকে নিয়ে গর্বিত বলেও জানান তিনি।

এখনো পর্যন্ত সীমিত আছে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত সহিংসতা। তবে আশঙ্কা হচ্ছে, লড়াই বাড়লে লেবাননও এই সংঘর্ষে জড়িয়ে যেতে পারে।