
বগুড়ায় ফ্রিল্যান্সারকে অপহরনের দায়ে সাব-ইন্সেপেক্টরসহ পুলিশ আটক
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৩:০৯ অপরাহ্ণ
গতকাল রোববার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বক্তব্যে বলেন, বিএনপির আন্দোলনে জনগণ নেই। তাদের আন্দোলনের বাজার ভেঙে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।‘বিএনপির আন্দোলনে শুধু আছে তাদের নেতা-কর্মী। বিএনপির নেতারা তাদের কর্মীদের আশ্বাস দিচ্ছেন যে ভয় পেয়ো না, আমেরিকা ও ইউরোপ আছে। তারা কর্মীদের কত কথা শোনাচ্ছে! অথচ একটি সেলফি দেখে কর্মীরা আর আশা রাখতে পারছে না।’
মনোনয়ন–বাণিজ্যের জন্য বিএনপি তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের (বিএনপির) আন্দোলনের বাজার ভেঙে যাচ্ছে। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
জি-২০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সেলফি তোলায় বিএনপির নেতাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, নয়াদিল্লির একটি সেলফি দেখে বিএনপির নেতাদের চোখমুখ শুকিয়ে গেছে এবং তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এখন কাকে দেখাবে, কে নিষেধাজ্ঞা দিল, কে ভিসানীতি প্রয়োগ করল- এসবে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ। জনগণের সেই শক্তিকে নিয়েই আগামী নির্বাচনে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা, কিন্তু ওদের (বিএনপি) নেতা নেই। আজকে লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক করেছেন...দিন যায়, মাস যায়, দেখতে দেখতে ১৫ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর? বিএনপি মানুষের মনে আস্থা রাখতে পারছে না।’
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন বলে দেবে কে বাংলাদেশের ক্ষমতার মঞ্চে থাকবে। বুঝে-শুনে সিদ্ধান্ত নিন। নির্বাচনে আসেন। মোকাবিলা হবে ইলেকশনে। ফাইনাল খেলা ইলেকশনে।
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ড. ইউনূস আমাদের সুখে-দুঃখে নেই। তাঁকে আপন মানুষ ভাবব কেমন করে? ড. ইউনূসের ওপর ভর করেছে বিএনপি। ওয়ান-ইলেভেনের মতো নাগরিক কমিটি করে সুশীল সরকার গঠনের দিন চলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ মনে মনে ঠিক করে নিয়েছে, কাকে ভোট দেবে। দেশের ৭০ পার্সেন্ট (শতাংশ) মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে।’
অনুষ্ঠানে যুবলীগের প্রশংসা করে আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, যুবলীগ ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ, আন্দোলন সংগ্রাম ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় দৃষ্টান্তকারী সংগঠন। যুবলীগ অন্যান্য সংগঠনের কাছে অনুসরণীয়, অনুকরণীয়। যার যা প্রাপ্য তা স্বীকার করা উচিত। ভালো কাজের প্রশংসা পাওয়া উচিত।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন। পরে দেশব্যাপী যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের।