সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

দ্রুত স্মৃতিশক্তি বাড়াতে খাবেন যেসব খাবার


দ্রুত স্মৃতিশক্তি বাড়াতে খাবেন যেসব খাবার
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

আজকে যা ভাবেন কাল‌‌ তা ভুলে যান? অনেক রাত জেগে পড়েন কিন্তু পরীক্ষার‌ হলে কিছুই মনে আসে না? বাজার করতে গিয়ে ভুলে যাচ্ছেন হিসেব? আপনি যদি এইরকম সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার স্মৃতিশক্তি হয়ে পড়েছে দুর্বল। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ডাক্তাররা যোগব্যায়াম, শরীরচর্চা, অনুশীলনের কথা বলে থাকেন। কিন্তু শুধুমাত্র অনুশীলনের দ্বারাই এর সমাধান হয় না। কিছু কিছু খাবারের উপাদান প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর আজকে আমরা সেইসব খাবারের কথা আপনাদের বলবো যেসব খেলে আপনার ব্রেনের ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি অনেক গুণ বাড়বে।

ডিম: ডিম হলো ভিটামিন বি৬, বি১২, ফোলেট এবং কোলিনসহ মস্তিস্কের সুস্বাস্হ্যের সাথে জড়িত বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ভালো উৎস। কোলিন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা শরীরে অ্যাসিটাইলকোলিন নামক একটি নিউরেট্রান্সমিটার তৈরি করে যা মন ভালো রাখার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

আপেল: আপেল মস্তিষ্কের জন্য উপকারি ফল। এতে থাকে কোয়ারসেটিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যা কিনা কোষের মৃত্যু ও নিউরোনের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

হলুদ: মস্তিস্কের বিকাশের পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে হলুদের বিকল্প নেই। হলুদের মধ্যে থাকা সক্রিয় উপাদান কারকিউমিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্রেমেটরি যৌগ। এসব উপাদান স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।এটি আলজেইমার আক্রান্তদেরও স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি বিষন্নতা কমানোর পাশাপাশি মস্তিস্কের নতুন কোষ বৃদ্ধিতেও সহায়ক।

কফি: কফির দুটি প্রধান উপাদান- ক্যাফেইন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ক্যাফেইন সেবনের ফলে মনোযোগ এবং সতর্কতা বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘমেয়াদে কফি পান পারকিনসন এবং অ্যালঝেইমারের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়।

কুমড়ার বীজ: কুমড়ার বীজ এক ধরনের সুপার ফুড যেটাতে ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, আয়রন এবং কপার রয়েছে। এসব উপাদান স্মৃতিশক্তি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব দেয় এবং মস্তিস্ককে ফ্রি রাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এছাড়া এসব উপাদান মাইগ্রেন, বিষন্নতা এবং মৃগীরোগের ঝুঁকি কমিয়ে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

ব্লু-বেরি: ব্লু-বেরিতে থাকা কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিস্কের কোষগুলির মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করতে সহায়তা করে। এতে থাকা অ্যান্হোহিয়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান মস্তিস্কে প্রদাহ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও‌ অনেক উপকারী।

ডার্ক চকোলেট: ডার্ক চকোলেট এবং কোকো পাউডার ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যাফেইন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ কয়েকটি মস্তিস্ক-উদ্দীপক যৌগ দ্বারা পরিপূর্ণ। এসব উপাদান স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারে এবং বয়সের সাথে সাথে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা ধীর করে তোলে। ৯০০ জনের ও বেশি লোকের উপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা চকোলেট বেশি খান তাদের স্মৃতিশক্তি চকোলেট কম খাওয়া মানুষের তুলনায় বেশি।

গ্রিন টি: গ্রিন টি-তে‌‌ থাকা এল-থেনাইন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড মস্তিস্কের রক্তের মধ্যে মিশে নিউরোট্রান্সমিটার এর কার্যকরিতা বৃদ্ধি করে। এতে থাকা পলিফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিস্ককে মানসিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করে ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

পানি: মস্তিস্কের ৭৫ শতাংশই পানি‌। তাই শরীরে পানির অভাব‌ থাকলে মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা কমবে। পানির অভাবে মনোযোগ কমে, সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব হয় এবং স্বল্প সময়ের জন্য স্মৃতিশক্তি কমার লক্ষণ দেখা দেয়। তাই অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।