পূর্ব শত্রুতার জেরে নারায়ণগঞ্জের শহরের চাষাঢ়ায় আলামিন ওরফে দানিয়াল (২৮) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় শুভ (২২) নামে আরও একজনকে আহত করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে চাষাঢ়া শহীদ মিনারের পিছনে বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আল আমিন ওরফে দানিয়াল (২৮) ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় দেলোয়ার মিয়ার ছেলে। এবং তিনি অটোরিকশা গ্যারেজের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার বন্ধু আহত শুভ (২২) একই এলাকার শাহজালালের ছেলে। শুভ একটি কারখানার মেশিন অপারেটর।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে নগরীর চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় প্রকাশ্যে ওই দুই যুবককে কুপিয়ে আহত করে কয়েকজন যুবক। পরে আহত দুই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এরপর ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় আহতদের বাড়ির সামনে নিয়ে তাদের আবার আঘাত করে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দানিয়ালকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় শুভকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহত দানিয়ালের মা মুক্তা বেগম বলেন, ‘বাড়ির পাশে দানিয়ালকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ছোট ছেলে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে দানিয়ালকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে গিয়ে দেখি দানিয়াল মারা গেছে। দানিয়ালকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার সঙ্গে স্থানীয় অনিকদের বিরোধ চলছিল। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই।’

নিহতের স্ত্রী রাত্রি আক্তার জানান, গত দুই বছর আগে তার সঙ্গে দানিয়ালের বিয়ে হয়। এরইমধ্যে কয়েক মাস ধরে তারা আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। রাত ১০টার দিকে দানিয়াল তার বন্ধু শুভকে নিয়ে চাষাঢ়া ঘুরতে যায়। কিছুক্ষণ পরেই ফিরে আসে লাশ হয়ে।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসলিম আহমেদ জানান, বেশ কিছুদিন আগে ওই এলাকার সন্ত্রাসী রমুর নাতি হিসেবে পরিচিত অনিক ও তার লোকজনের সঙ্গে নিহতের মারামারি ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রমু ওই এলাকার শীর্ষ মাদক কারবারি এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শুক্রবার রাতে দানিয়েলের ওপর হামলা চালায়।

তিনি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত অপর যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। এছাড়া নিহত যুবকের বিরুদ্ধেও থানায় মামলা রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রমুকে আটক করা হয়েছে।