মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫

৭ জানুয়ারি'র নির্বাচন সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ও সর্বাত্মক স্বচ্ছ হয়েছে: ইসি রাশেদা


৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৫:০২ অপরাহ্ণ 

৭ জানুয়ারি'র নির্বাচন সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ও সর্বাত্মক স্বচ্ছ হয়েছে: ইসি রাশেদা
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, বিগত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন দেশে বিদেশে সর্ব মহলে গ্রহণযোগ্য, সর্বাত্মক স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার কারণে নির্বাচন কমিশনকে উচ্চ মাত্রায় নিয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন এই অবস্থান থেকে সরে আসবেনা। বরং আগামীতে যে কোন নির্বাচনে কমিশন আরও স্বচ্ছ ও শক্ত অবস্থানে থাকবে।

আজ রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনের আসন্ন নির্বাচন'কে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসারবৃন্দ এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জেলার রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলার সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মো. হুমায়ুন কবির, রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি ফয়সল মাহমুদ, পুলিশ সুপার মো. রাশিদুল হক, রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, নওগাঁ-২ (পত্নীতলা- ধামইরহাট) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জাতীয় পাটির এ্যাড. তোফাজ্জল হোসেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ্যাড. শহিদুজ্জামান সরকারের প্রতিনিধি এ্যাড. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আকতারুল আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী মাহমুদ রেজা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় ১৪ বিজিবি'র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. হামিদ উদ্দিন পিএসসি, র‍্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মুনিম ফেরদৌসসহ সহকারী রিটার্নিং অফিসারবৃন্দ এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা আরও বলেছেন, আমরা আন্তরিকভাবে চেয়েছিলাম বলেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য করতে পেরেছিলাম। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, নিষ্কণ্টক ও স্বচ্ছ করা কেবলমাত্র নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সম্ভব না। সংশ্লিষ্ট সকলের দায় রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার নিদর্শন সৃষ্টি করেছে। যদি নিরপেক্ষ না হতো তাহলে এতো বিপুল সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারতেন না। এমন কি সারাদেশে অনেক হেভীওয়েট প্রার্থীরা পরাজিত হইতো না।

সকল প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে নির্বাচনের প্রচারণা করতে আহ্বান জানান। এ বিষয়ে প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদেরও নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়ার জন্য একটি দেশের গণতান্ত্রিক অবকাঠামো স্থিতিশীল রাখতে কমিশনকে জনগনের নিকট অধিক আস্থাশীল হতে হবে। সেই জায়গা থেকে বর্তমান নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ ও নিষ্কন্টক থেকে কাজ করছে।

নির্বাচনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন আমাদের কাম্য হওয়া উচিত।