
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর
২৩ জানুয়ারী ২০২৪, ৭:০৫ অপরাহ্ণ
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে মালবাহী ট্রলার ডুবির প্রায় দুই দিন পর ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার হলেও ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ হওয়া বাবা আব্দুর রাজ্জাক সরদার (৬২) ও তার ছেলে পারভেজের (২৮) কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে উদ্ধার হওয়া ট্রলারটি মালিকের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল।
এর আগে গত রবিবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ইলিশা ইউনিয়নের জংশন বাজার এলাকার মেঘনা নদীতে তীব্র স্রোতের তোরে ভাঙারী মালামাল ও সাতজন লোক নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে নদীতে থাকা জেলেদের সহায়তায় ট্রলারে থাকা পাঁচজন সাতরিয়ে তীরে উঠতে পারলেও আব্দুর রাজ্জাক ও পারভেজ নামের দুই বাবা-ছেলে নিখোঁজ থাকেন। ট্রলার ডুবির পর থেকেই নিখোঁজ আব্দুর রাজ্জাক ও পারভেজের সন্ধানে স্বজনরা সদর উপজেলার রাজাপুরের জোরখাল এলাকার মেঘনা নদীর তীরে এসে জড়ো হয়। দুই দিন অপেক্ষার পর নিখোঁজদের কোনো সন্ধান না পাওয়া চরম হতাশায় রয়েছেন তারা।
জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যবসায়ী মো. ফারুক সরদার ও রিয়াজ জানান, তারা রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভোলার মনপুরা উপজেলার কাজির চর এলাকা থেকে ভাঙারি মালামাল বোঝাই করে রাজ্জাক সরদার, পারভেজ সরদার, রিয়াজ, ফারুক, শাকিল ও রাসেলসহ সাতজন মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে ভোলা সদরের ইলিশা ইউনিয়নের জংশন এলাকার মেঘনা নদীতে আসলে হঠাৎ স্রোতের তোরে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় তারা নদীতে লাফিয়ে পড়ে স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় পাঁচজন তীরে উঠে আসলেও তাদের সাথে থাকা আব্দুর রাজ্জাক ও পারভেজ নিখোঁজ থাকেন। ট্রলারে থাকা সাতজনই বরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক ছিলেন ফারুক মাঝি। ফারুক মাঝি ভাঙারি মালামালের ব্যবসা করেন। তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে নদী পথে ট্রলারের মাধ্যমে মালামাল পরিবহন করেন। ডুবে যাওয়ার সময় তার ট্রলারে প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল ছিল।
ভোলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার মো. সুমন জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার ও নিখোঁজদের সন্ধানে সোমবার দুপুরের দিকে বরিশাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রলার ও নিখোঁজদের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়। পর দিন মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে মেঘনা নদীতে অভিযানে নামেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চাঁদপুর থেকে আনা একটি বেসরকারি ডুবুরী টিম ডুবে যাওয়া ট্রলারটি সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরে বিকেল ৩টার দিকে ট্রলারটিকে টেনে জোরখাল এলাকায় নিয়ে উপরে তোলা হয়। তবে ট্রলার কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে বিকেল ৪টার দিকে ট্রলার মালিকের কাছে ট্রলারটি হস্তান্তর করে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।