খুকৃবিতে "জুলাই শহীদ স্মৃতি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট" উদ্বোধন
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
২০ জানুয়ারী ২০২৪, ৬:৫৩ অপরাহ্ণ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে (৩৩) একাধিকবার ধর্ষণে অন্ত:সত্তা করার অভিযোগ উঠেছে সোহাগ হাওলাদার (৩৫) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে ওই নারী সোহাগ সহ দুই জনের বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোহাগ এবং এক সন্তানের জননী ওই নারীর বাড়ি বালিয়াতলী ইউপির পক্ষিয়াপাড়া গ্রামে। ২০১৯ সালে ওই নারীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। পরে সে তার সন্তান সহ ঢাকায় গিয়ে চাকুরি শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাড়িতে আসার পরই পূর্ব পরিচিত হওয়ায় বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দেয় সোহাগ। এতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় সে ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখাতো।
পরে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে সোহাগ ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিবার জোর পূর্বক ধর্ষন করে। প্রায় ৪ মাস আগে সোহাগ তাকে বিয়ের কথা বলে ঢাকার গাজীপুরে একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় এবং ভূয়া কাজি এনে বিয়ের মিথ্যা নাটক করে। পরবর্তীতে বেশ কয়েকদিন তারা এক সঙ্গে বসবাস শুরু করেন। গত ১৫ নভেম্বর ওই নারীকে ওই ভাড়া বাসায় রেখে সোহাগ পালিয়ে চলে আসে। বেশ কয়েকদিন পর স্বামীর খোঁজে ওই নারীও এলাকায় চলে আসে।
গত ১০ জানুয়ারি ওই নারীর শাররীক অবস্থার পরিবর্তন দেখে ডাক্তারি পরীক্ষা করে জানতে পারে যে সে দুই মাসের অন্ত:সত্তা হয়ে পড়েছে। বিষয়টি সোহাগ জানার পর ওই নারীর সঙ্গে সে পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং তাদের বিয়ের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে। এ ঘটনা সোহাগের পিতা মজিবুর হাওলাদারকে জানালে সে ওই নারীকে জ্বরের ঔষধ বলিয়া সন্তান নষ্ট করার পায়তারায় এমএম কিট নিয়ে সেবন করতে বলে। ওই নারী বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ বুঝতে পেরে খাওয়া বন্ধ করে দেন। বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধিদের অবগত করার পরও কোন প্রতিকার না পেয়ে সে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ভূক্তভোগী ওই নারী কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমি সোহাগের সঙ্গে প্রেম করতে চাইনি। সে প্রথমে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রেমে রাজী করায়। আমাকে সে বেশ কয়েকবার বিয়ের কথা বলেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে নিয়ে আমাকে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্ব ধর্ষন করেছে। সে বিয়ের কথা বলায় ধর্ষনের বিষয়টি আমি লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে জানাইনি। আমি অন্ত:সত্তা হওয়ার পর সোহাগের পরিবার সহ এলাকার অনেকের কাছে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ধর্না ধরেছি। কিন্তু কেউই আমার বিষয়টি দেখেনি। আমি শুধু স্ত্রীর স্বীকৃতি চাই।
এ বিষয়ে সোহাগের কাছে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। সোহাগের পিতা মজিবুর হাওলাদার জানান, আমার ছেলের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। ঔষধ কিনে দেওয়া তো দুরের কথা এ বিষয়ে ওই মেয়ে অমার কাছেই আসেনি।
কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।