উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী কুবি শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছেন মেরী
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪
১৪ জানুয়ারী ২০২৪, ৭:১৭ অপরাহ্ণ
ফরিদপুরে ফের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। সেই সঙ্গে মুরগির দামও বেড়েছে। তবে, কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দামে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেছে। আজ রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য মিলেছে।
ফরিদপুর শহরের হাজি শরিয়াতুল্লাহ বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭শ টাকায় এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি এক হাজার টাকায়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
এই বাজারে নাজমুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি খাসির মাংস নিতে এসেছেন। তিনি বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে শুনেছি খাসি ৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আজ এসে দেখি এক হাজার টাকা কেজি। এত দাম হলে কীভাব কিনব, তবুও নিতে হচ্ছে।’
গত বছর নভেম্বরের শেষের দিকে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন মাংসের দোকানে অভিযান চালায় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ অভিযানের পর ডিসেম্বরে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬০০ টাকায় বিক্রি করতে শুরু করেন মাংস ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া খাসির মাংস কেজি প্রতি ৮শ টাকা বিক্রি করে। কিন্তু হঠাৎ পুরোনো সেই দামে বিক্রি করতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
তাছাড়া মুরগিও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। হাজি শরিয়াতুল্লাহ বাজারে দেখা যায়, পোলট্রি মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। এ ছাড়া সোনালী মুরগি ৩০০ টাকা এবং কক মুরগি ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে কাঁচা বাজারে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দামে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেছে। কিন্তু অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়েছে।
শহরের থানা রোড সংলগ্ন ও ময়রা পট্টি সংলগ্ন গলিতে প্রতি রোব ও বুধবার কাঁচা বাজারের হাট বসে। এই বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশীয় মুড়িকাটা (নতুন পেঁয়াজ) প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। এ ছাড়া কেজি প্রতি বেগুন ৮০ টাকা, আলু ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, আদা ২০০ টাকা, রসুন ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এই বাজারে কাঁচা বাজার কিনতে এসেছেন লায়েকুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘বেশি দামে বাজার করতে করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি, এ নিয়ে আর কি মন্তব্য করব। বাজার না করলেতো বাইচ্যা থাকা যায় না। চার থেকে পাঁচ দিনের জন্য দিনের জন্য মাছ-মুরগি ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ কাঁচা বাজার করেছি প্রায় ২২শ টাকার। এবার হিসাব করে দেখেন মানুষ বাঁচবে কী করে।’
এছাড়া চালের বাজারেও অস্বস্তি দেখা গেছে। শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজি প্রতি বাঁশমতি চাল ৮০ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, আটাশ চাল ৫৫ টাকা ও কাজল লতা চাল ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে।
তবে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে হাজি শরিয়াতুল্লাহ বাজার বণিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী খায়রুজ্জামান লাবলু আজকের প্রসঙ্গ কে বলেন, ‘এলসি না থাকায় চাউলের দাম বেড়েছে। আর গরু-খাসির দাম নির্ধারিত করে দিলেও ব্যবসায়ীরা যে যার মতো যুক্তি দেখিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে, এর সঠিক কারণ নিয়ে আমিও বোধগম্য নয়।’
এ বিষয়ে ফরিদপুর ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ আজকের প্রসঙ্গকে বলেন, ‘নির্বাচনের কারণে কিছুদিন বাজারগুলোতে অভিযান বন্ধ ছিল, এ জন্য হয়তো দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আগামীকাল সোমবার থেকেই আমাদের অভিযান শুরু হবে এবং বাজার তদারকি বাড়ানো হবে।’