
ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
১৩ জানুয়ারী ২০২৪, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ
হিমেল হাওয়া আর তীব্র শীতে বস্তিবাসী তখন গভীর ঘুমে। মাঝরাতে হঠাৎই আগুনে ঘুম ভাঙে সবার, শুরু হয় ছুটোছুটি। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো বস্তিতে। পানির ওপর বাঁশ আর কাঠ দিয়ে বানানো মোল্লাবাড়ি বস্তির তিন শতাধিক ঘরে বসতি ছিল অন্তত দেড় হাজার লোকের।
খবর পেয়ে একে একে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট। আগুন নেভাতে সহযোগিতা করেন স্থানীয়রাও। ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঘর আর নিম্নআয়ের মানুষগুলোর শেষ সম্বল। বেশিরভাগই বের করতে পারেননি কোনো মালামাল। সব হারিয়ে নিঃস্ব মানুষের আশ্রয় এখন খোলা আকাশের নিচে। তীব্র শীতে অসহায় তারা।
আগুন নেভার পর ভোরের আলো ফোটার আগেই পোড়া ছাইয়ে বেঁচে থাকার শেষ সম্বল খুঁজে ফেরার প্রচেষ্টা বস্তিবাসীর। জমানো টাকা, আসবাবপত্র, মাথা গোজার ঠাঁই হারিয়ে অসহায় নিম্নআয়ের এসব মানুষ। এখন পুড়ে যাওয়া ছাই থেকে কিছু খুঁজে পাওয়া যায় কি না- যেটাকে অবলম্বন করে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে, অথবা শেষ সম্বলটুকু খুঁজে ফেরার যে চেষ্টা সেটা এখন চলছে। পাশাপাশি তারা সরকারের কাছে সহযোগিতার আবেদন করেছেন।
প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে, অরক্ষিত গ্যাস লাইন কিংবা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বস্তির আগুনগুলো অধিকাংশ শর্ট সার্কিট বা গ্যাসের লাইন থেকে লাগে। এখনকার অবস্থা আমরা নিশ্চিত না। কেউ বলছে শর্ট সার্কিট, কেউ বলছে গ্যাসের লাইন। এটা খতিয়ে দেখতে হবে।
এদিকে আগুনের এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর দুজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।