বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেন, নির্বাচনে যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা না হয়, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয় সেসব বিষয় মাথায় রেখে আমাদের প্রতিটি সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।

আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে বিজিবি সদস্যদের ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে যাতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয়, কোনো নাশকতা যেন না হয় এবং লোকজন যাতে ভোটে দেওয়ার জন্য উৎসাহিত হয় এবং ভোট দিতে যাতে তারা নিরাপদ বোধ করে, সে বিষয়গুলো আমরা নিশ্চিত করব।

তিনি বলেন, আমাদের একটাই উদ্দেশ্য, নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে জন্য অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি আমরা কাজ করে যাব। যদি কোথাও আইন-শৃঙ্খলার কোনো অবনতি হয় বিজিবির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাতে সাধারণ লোকজন নিরাপদে তাদের ভোট দিতে পারে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের দিন আমরা অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিয়োজিত থাকব। মূলত আমরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকব। তার পরেও যদি কোথাও কোনো আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়, রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিজাইডিং অফিসারের যদি কোনো চাহিদা থাকে অথবা ভোটকেন্দ্রেও যদি আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয় তখন রিটার্নিং বা প্রিজাইডিং আমাদের সহযোগিতা চায়, সেখানেও আমাদের ফোর্স যাবে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে।

বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, কোথাও নাশকতা বা কোনো সমস্যা হয় আমাদের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডগ স্কোয়াড আছে। প্রয়োজনে ইলেকশনকে সামনে রেখে আমরা ভোটকেন্দ্র বা যে জায়গায় নাশকতা হচ্ছে, সেখানে ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করব।

নির্বাচনে বিজিবির গ্রেপ্তারের ক্ষমতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আমাদের টহল টিম রাস্তায় থাকবে। যদি কেউ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অবনতি ঘটায়, তাহলে তো অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা বর্ডারের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। প্রতি পাঁচ বছর পর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে হয়, এটাও আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করাও কিন্তু আমাদের বিজিবির একটি দায়িত্ব। সেটা আমরা অতন্দ্র প্রহারী হিসেবে কাজ করব।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে সারা বাংলাদেশে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম রিজিয়নে ১৭৭ প্লাটুন বিজিবির সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত আছে। ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বিজিবি মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।