বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন ২ তরুণ সাংবাদিক
১১ মাস আগে
১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৩১ অপরাহ্ণ
এনসিপি এর শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা তীব্র সমালোচনা করে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে শামিম হাসান রঞ্জু নামের এক ব্যক্তি। তিনি অভিযোগ করেন, দলটি ক্ষমতার লোভে জনগণের কাতার ত্যাগ করে অতীতের বিপ্লবী আদর্শ থেকে সরে গেছে।
বক্তা বলেন, এক সময় যারা জনগণের পাশে ছিলেন, আজ তারা ক্ষমতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে গেছেন- যার ফলে দলীয় নেতৃত্বের প্রতি আস্থা হারিয়েছে সাধারণ মানুষ। একজন বক্তা সতর্ক করে বলেন,
“আপনাদের শহীদদের আত্মা মাফ করবে না। আহত পরিবারগুলো মাফ করবে না।”
বিক্ষোভকারী অভিযোগ করেন, এনসিপির অনেক নেতাই এখন স্থানীয় ক্ষমতার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন; তাদের বক্তব্যে আর আগের মতো উচ্ছ্বাস বা জনমানুষের ব্যথা স্পর্শ করে না। “ইনকিলাব জিন্দাবাদ, ক্ষমতা না জনতা”-এই স্লোগানগুলো দলীয় মঞ্চে এখনও শোনা গেলেও বাস্তব আচরণে তার প্রতিফলন নেই বলেও মন্তব্য করা হয়।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়া, ১০০ আসনে নিজস্ব প্রার্থী দেয়ার ঘোষণার ব্যর্থতা নিয়েও তারা হতাশা প্রকাশ করেন। প্রশ্ন তোলেন- “কোন দলের সঙ্গে জোট করার ইচ্ছা আছে? আর কাদের সঙ্গে ভোটে যেতে চান?”
বিক্ষোভকারী দলীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করে বলেন, এখনও সময় আছে জনতার কাতারে ফিরে আসার। সংসদীয় রাজনীতি নয়, রাজপথই বিপ্লবীদের ঠিকানা-এই বার্তা তারা দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেন।
তার মতে, “ফ্যাসিস্ট শক্তির পুনর্বাসন ঘটেছে” এবং এনসিপি যদি ক্ষমতার রাজনীতিতে অংশ নিতে চায়, তবে সেটি জনতার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আন্দোলনের আদর্শে ফিরে এসে দলকে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান জানান তারা।
সমালোচনাকারী আরও বলেন, তারা কোনো ব্যক্তিগত বিচার চান না— “অন্যায় হলে আল্লাহ বিচার করবেন।” তবে নেতাদের প্রতি আহ্বান, “জনতার কাছে ফিরে এসে আত্মসমালোচনা করুন, তবেই হারানো আস্থা ফিরে পাওয়া সম্ভব।”