উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী কুবি শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছেন মেরী
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪
১০ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ
পাইলস রোগটির সাথে আমরা হাজার বছর ধরে পরিচিতি। এহা একপ্রকার ধাতুগত পীড়া। মলদ্বারের ভিতরে বা বাহিরের চার পাশের শিরা গুলো ফুলে মটরদানা কিংবা অঙ্গুরের মত কিংবা ছাগলের বাটের মত ছোট ছোট গলি বা টিউমার হলে তাকে অর্শ বা হেমোরয়েড বলে। অর্শ প্রধানত দুই প্রকার যথা অন্তর্বলি ও বহির্বলি এইছাড়া এক প্রকার অর্শকে মিশ্র বলি বলে। যেটি বাহির উভয় স্থানে থাকে।
বয়স: ৩০-৬০ বৎসর বয়সের ভেতর এই রোগের প্রকোপ সব চেয়ে বেশী। ২০ বৎসর বয়সের নিচে পাইলস খুব একটা দেখা যায় না। পাইলস সনাক্ত করা খুব সহজ কাজ নয়। একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক কেবল যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করে পাইলস সনাক্ত করতে পারেন।
কখনো কখনো টয়লেটে বসিয়ে কোথ দিতে হয়ে। আমাদের কাছে বিভিন্ন রোগী আসিয়া বলে আমার পাইলস। তখন রোগী লক্ষণ দেখি বুঝি পাই এনাল ফিশার, পলিপ অথবা ফিস্টুলা অর্থাৎ মলদ্বারের যে কোন রোগকে সবাই পাইলস হিসেবে জানেন। কিন্তু এইখানে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। এই রোগ মহিলাদের চেয়েও পুরুষের কিছুটা বেশী হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বৎসর বয়সের উর্দ্ধে জনসংখ্যার ৫০% বা কোন না কোন সময় পাইলস এর সমস্যায় ভোগেন।
নানা কারনে অর্শ হতে পারে। প্রধান করান লিভারের মধ্যে এবং ধমনীতে রক্তাধিক্য হলে অর্শ হয়। এছাড়া অলস প্রকৃতির লোকের সারা দিন বসে বসে থাকা, ঘিয়ে ভাজা বা অধিক মসলা যুক্ত রান্না খাওয়া, কষ্ট বধ্যতার জন্য অধিক কোথ দিয়ে পায়খানা করা। ঘন ঘন জোলাপের ঔষুধ খাওয়া মলদ্বারের ক্রিরমির অত্যচারের জন্য বার বার খোটলানোর কামরিপুর উত্তেজনার কারনে এবং মাতা, পিতার এই রোগ থাকলে সন্তানের ও অর্শ হয়।
সময় সময় র্বলী গুলি চুলকায়। ধপ ধপ করে ব্যাথা করে এবং জ্বালাপোড়া করে। কাটা পোটার মত বেদনা এবং কোমরে বেদনা। মল ত্যাগকালে র্বলী থেকে রক্তস্রাব হয়। কোন কোন সময় রক্তস্রাব হয় না।
পাইলস রোগটির ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ে লক্ষ রাখিতে হইবে।
১) আহার ও ভ্রমন সম্ভন্দে নিয়ম পালন,
২) নিয়মিত পায়খানা পরিস্কার হওয়ার ব্যবস্থা,
৩) অর্শের স্থানটিকে ভালোভাবে পরিস্কার রাখা।
অর্শে কোন সুচিকিৎসা হয় না। অস্ত্রে প্রসার ছাড়া কোন গতি নাই। কিন্তু তাতেও রোগ নিমূল হইয়া সারিতে পারে না। অতএব প্রথম থেকেই অর্গানন অনুসরনকারী হোমিও প্যাথিতে চিকিৎসা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যে পুরাতন রোগ বীজ রোগীর দেহে বর্তমান থাকিয়া এই রোগের সৃষ্টি করিয়াছে সেই ধাতুগত দোষ দুরি করনার্থ উপযুক্ত সোরাদোষ ঔষুধ সেবন না করিলে শুধু অস্ত্রপচার বা অ্যালোপ্যাথী ঔষুধ খাইলে কোন লাভ হইবে না।
রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়। আবার অনেক চিকিৎসক বের হইছে নিজেদেরকে অর্শ ভগন্দেরের চিকিৎসক বলে থাকে। কিন্তু ঐ সব ডাক্তার বাবুরা রোগীদেরকে ইনজেকশানের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকে। আবার মলম বা ক্রিম লাগাইতে রোগীদেরকে বলে। যেটা সাময়িক নিরাময়। কিন্তু পরে জঠিল আকার ধারন করে।
এইরকম অনেক চিকিৎসক চট্টগ্রাম ফেনীসহ অনেক জায়গায় এইসব রোগীর অপচিকিৎসা দিয়ে থাকে। এইজন্য যেসব ডাক্তার নিজেদেরকে হানেমানের উত্তশ্বরী বলে থাকে তারা যেন রোগীর সঠিক লক্ষন নির্বাচন করতে পারলে তাহালে হোমিওতে অর্শরোগীর চিকিৎসা আল্লাহর রহমতে দেওয়া সম্ভব।
প্রাথমিক ভাবে অভিজ্ঞ চিকিৎসকগন যেসব মেডিসিন নির্বাচন করে থাকে। যেমন: এলুমিনা, এলো, আর্সেনিক এল, এন্টিম ক্রোড, এমন কার্ব, নার্কস ভোম, সালফার, ইস্কিউর্লাস হিপ, কলিন সোনিয়া, এসিডি নাইট্রেকাম ইত্যাদি সহ আরো অনেক ঔষুধ লক্ষনের উপর আসতে পারে । এইসব ঔষুধ গুলা বিশেষজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক ছাড়া নিজে নিজে ব্যবহার করলে রোগ আরোও জঠিল আকারে পৌছতে পারে।