বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সর্বাধিক পঠিত


বোটানিক্যাল ও বলধাসহ ছয় পার্কে ২০ টাকার টিকিট ১০০!


বোটানিক্যাল ও বলধাসহ ছয় পার্কে ২০ টাকার টিকিট ১০০!

ঢাকার বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলধা গার্ডেনসহ ছয় উদ্যান ও ইকোপার্কের প্রবেশমূল্য অন্যায্য ও অবিবেচনাপ্রসূতভাবে বাড়ানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। | ছবি: সংগৃহীত

  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

ঢাকার বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলধা গার্ডেনসহ ছয় উদ্যান ও ইকোপার্কের প্রবেশমূল্য অন্যায্য ও অবিবেচনাপ্রসূতভাবে বাড়ানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। উদ্যান-পার্কে সার্বজনীন ও অবাধ প্রবেশাধিকারের রাষ্ট্রীয় এবং বৈশ্বিক অঙ্গিকার ও প্রতিশ্রুতির সাথে প্রবেশমূল্য কয়েকগুণ বাড়ানোর ঘটনাটি বৈসাদৃশ্যপূর্ণ এবং জনগণের বিনোদন ও জনস্বাস্থ্যসুবিধাদির সার্বজনীন ধারণার প্রতি বৈষম্যমূলক বলে দাবি করছে সংস্থাটি। শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমনটি জানানো হয়ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন (জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান), রাজধানীর বলধা গার্ডেন, কক্সবাজারের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী ইকোপার্ক এবং ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কে প্রবেশমূল্য বাড়ানোর প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করতে হবে।

উদ্যান-পার্কে সকল আয় ও শ্রেণীপেশার মানুষের প্রবেশ নিশ্চিত করতে অযাচিত মূল্য বৃদ্ধি অবিলম্বে বন্ধ করে জনসাধারণের জন্য যৌক্তিক প্রবেশমূল্য নির্ধারণের জোর দাবী জানাচ্ছে আইপিডি।’  
এতে আরো বলা হয়, ‘আধুনিক নগর পরিকল্পনায় উদ্যান-পার্ক-খেলার মাঠকে বিনোদন সুবিধাদি বিবেচনার সাথে সাথে স্বাস্থ্য অবকাঠামো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যে সকল শহরে যথাযথ পরিমাণ উদ্যান-পার্ক-খেলার মাঠ থাকে এবং জনগণের সেখানে অবাধ প্রবেশাধিকার আছে, সেই শহরের অধিবাসীদের জনস্বাস্থ্য তুলনামূলকভাবে ভালো থাকে। ফলে নগরের হাসপাতাল-ক্লিনিক প্রভৃতি স্বাস্থ্য অবকাঠামোয় চাপ পড়ে কম।

উল্লেখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ অন্যান্য উদ্যান-ইকোপার্কগুলো শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী -গবেষকসহ সকলের জন্য প্রকৃতিকে জানার ও প্রকৃতি থেকে শেখার জন্য উন্মুক্ত বিদ্যালয়। ফলে এসব উদ্যানের প্রবেশমূল্য যেন সকলের জন্য সাশ্রয়ী হয়, সেই বিবেচনা প্রাধান্য পাওয়া উচিত।’