বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বৃদ্ধি, দুই ধাপে কার্যকর
৪ দিন আগে
২৩ আগস্ট ২০২৫, ২:৪২ অপরাহ্ণ
শ্লীলতাহানি ও ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত | ছবি: আজকের প্রসঙ্গ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী চট্টগ্রামগামী সেন্টমার্টিন পরিবহনের লোকাল বাসে শ্লীলতাহানি ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। এসময় অভিযুক্তরা তাকে বাস থেকে ফেলে দে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের সূত্রে জানা যায়, আলেখারচর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে বাসে ওঠেন ওই শিক্ষার্থী। বাসে অন্য কোনো যাত্রী না থাকায় হেলপারসহ আরও কয়েকজন তার হাত-পা বেঁধে গলায় থাকা সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়। এসময় তাকে যৌন হয়রানির পাশাপাশি হত্যার উদ্দেশ্যে বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীকে বাস থেকে পড়ে যেতে দেখে তারা গাড়ি আটক করেন। এসময় গাড়িতে থাকা পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পালিয়ে যায়, আর বাকি দুইজনকে তারা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তদের ক্যাম্পাসে নিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়।
ভুক্তভোগীর খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা মহাসড়ক অবরোধ ও সেন্টমার্টিন পরিবহনের দুইটি বাস আটক করেন। এতে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করলে তারা অবরোধ তুলে নেন। তবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যানজটের প্রভাব রয়ে যায়।
সদর দক্ষিণ উপজেলার এসিল্যান্ড সজীব তালুকদার জানান, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে এবং আটক দুই আসামি স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া খানম বলেন, আটক দুজনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনকে দ্রুত গ্রেফতারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ভুক্তভোগীর ক্ষতিপূরণ বাস মালিকের কাছ থেকে আদায় করা হবে।
কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা পৃথকভাবে তদন্ত করা হবে। পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাকি তিনজনকে গ্রেফতার করবে এবং এক মাসের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়মিত মামলার আপডেট নেবে।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কুমিল্লার পুলিশ সুপার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে চলে গেলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।