বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সর্বাধিক পঠিত


ফিটনেস ঘুষ বানিজ্যের অন্যতম কারিগর সহকারী পরিচালক বশির উদ্দিন আহমেদ


১ জুলাই ২০২৫, ১০:০২ অপরাহ্ণ 

ফিটনেস ঘুষ বানিজ্যের অন্যতম কারিগর সহকারী পরিচালক বশির উদ্দিন আহমেদ

সহকারী পরিচালক বশির উদ্দিন আহমেদ |

  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি {বি আর টি এ}  ঢাকা মেট্রো সার্কেল-৩, ডিয়াবাড়ি,উত্তরা- ঢাকা এর সহকারী পরিচালক বশির উদ্দিন আহমেদ। যিনি এক চেয়ারে বসে দায়িত্ব পালন করছেন দুটি এর একটি হলো ফিটনেস এবং অন্যটি হলো মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন। তিনি দীর্ঘ দিন যাবত এই দায়িত্ব পালন করে আসছেন বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো সার্কেল- ৩ এ। এর পাশাপাশি বি আর টি এ ঘুষ দুর্নীতির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি ঘুষ বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আজ ১ জুলাই সরেজমিনে প্রতিবেদন সংগ্রহকালে আজকের প্রসঙ্গের ক্যামেরায় সহকারী পরিচালক জনাব বশির উদ্দিন আহমেদের ঘুষ বাণিজ্যের দুর্লভ কিছু তথ্যচিত্র পাওয়া যায়।

ঢাকা মেট্রো সার্কেল-৩, ডিয়াবাড়ি,উত্তরা তে মোটরযানের ফিটনেস করতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন, এক হাজার থেকে শুরু, উপরে দশ হাজার। কিভাবে লেনদেন করেন বা কার সাথে কথা বলবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, যারা মাঠে গাড়ির নাম্বার ট্র্যাক করেন তাদের সাথে কথা বললেই ব্যবস্থা করে দিবেন। এছাড়াও অনেক দালাল আশপাশে খোঁজ করলে পাবেন।  

সেসময় তারা আরও বলেন, মানুষ একজন আর দায়িত্ব পালন করছেন দুটি এ যেন সোনায় সোহাগা। জনাব বশির উদ্দিন আহমেদের চারপাশ ঘিরে সর্বত্রই অফিস চলাকালীন সময়ে বড় একটি দালাল সিন্ডিকেট কাজ করে আর দিনশেষে ওরাই গ্রাহকের কাছ থেকে নেয়া ঘুষের টাকা বশির উদ্দিন আহমেদকে বুঝিয়ে দেন। আর এভাবেই চলছে দিনের পর দিন বশির উদ্দিন আহমেদের ঘুষ বানিজ্য। আর এসব ঘুষের টাকা প্রতিনিয়ত লেনদেন হচ্ছে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। দুর্নীতগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান বি আর টি এ , এমন খবর সহসাই বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচার হলেও যেন দেখার কেউ নেই!

কথিত আছে লক্কর ঝক্কর গাড়ির ফিটনেস এর জন্য নীরব অভয়ারণ্য এখন  ডিয়াবাড়ি। কেননা উত্তরা বিআরটিএ ফিটনেস শাখার যিনি দায়িত্বে আছেন তিনি একজন শান্ত স্বভাবের মানুষ। ঘুষ দিলেই ফিটনেস পাওয়া যায় অতি সহজে এমন খবর গাড়ি মালিক এবং দালাল উভয়ই খুব ভাল জানেন তাই তারা গাড়ির ফিটনেস করার আগে বোঝে শুনে এপয়েনমেন্ট করেন, যাতে করে  ফিটনেস পেতে কোন ঝামেলা পোহাতে না হয়।  কিন্তু কোন কোন গ্রাহক সহকারি পরিচালককে দুর্নীতির নীরব ঘাতক হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন। আজকের প্রসঙ্গের ক্যামেরায় তারা বলেন এমন দুর্নীতিবাজ অফিসার ঢাকা অফিসে না থাকাই ভালো। আরোও কথিত আছে যে, জনাব বশির উদ্দিন আহমেদের হাত ধরে অনেক দালাল আজ কোটি কোটি টাকার মালিক। অনেকেই হয়েছেন ফ্লাট, প্লট ও গাড়ির মালিক।  

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি {বি আর টি এ}  ঢাকা মেট্রো সার্কেল-৩, ডিয়াবাড়ি,উত্তরা এর ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশন শাখার ঘুষ বানিজ্যের অন্যতম হোতা বশির উদ্দিন আহমেদ। সাভার ও ঢাকাতে  তার নিজ নামে একাধিক গাড়ি বাড়ির খোঁজ মিলেছে। বিগত  আওয়ামী সরকারের সাথে সখ্যতা করে ঢাকা মেট্রো সার্কেল -১ এ  দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। আর সেই সুযোগে শুধুমাত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স শাখা থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা।