
রাজধানীতে ধাক্কামারা চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার
৪ সপ্তাহ আগে
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:৩৭ অপরাহ্ণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্প্রতি ক্যাম্পাসের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে একটি নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শুক্রবার, শনিবার এবং সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বিকাল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং অফিস চলাকালীন দিনে বিকাল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট প্রবেশপথ (শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, বর্ণ ইউনিটি, শিববাড়ি ক্রসিং, ফুলার রোড, পলাশী মোড় এবং নীলক্ষেত) দিয়ে কেবলমাত্র অনুমোদিত গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি, জরুরি সেবা (অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, রোগী, সাংবাদিকসহ অন্যান্য সরকারি গাড়ি) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে সাধারণ যানবাহনের প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
এই সিদ্ধান্তের ফলে আশপাশের এলাকাগুলোতে যান চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে বুয়েট সংলগ্ন পলাশী মোড় এবং বকশিবাজার রুটে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের কারণে এসব এলাকায় বাইপাস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা বুয়েটের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠেছে।
বুয়েটের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, যানজটের পাশাপাশি শব্দদূষণও তাদের দৈনন্দিন জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। বিশেষ করে সোহরাওয়ার্দী হলসহ বুয়েটের আবাসিক হলগুলোর আশপাশে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত গাড়ির হর্নের শব্দ এতটাই তীব্র যে, পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শেষ সপ্তাহে পরীক্ষার প্রস্তুতির চাপ সামলানোর সময় এ ধরনের শব্দদূষণ শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বাড়িয়ে তুলছে।
শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেছেন যে, পলাশী ও বকশিবাজারের রাস্তাগুলোর যানজটের কারণে জরুরি সেবা যেমন অ্যাম্বুলেন্স চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। এই যানজট ও শব্দদূষণ শুধু শিক্ষার্থীদেরই নয়, সাধারণ বাসিন্দাদেরও ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বুয়েটের শিক্ষার্থীরা এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে, তারা আশা করছেন দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সমন্বিতভাবে একটি কার্যকর সমাধান বের করবেন, যাতে উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রা ও শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকে।