মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সর্বাধিক পঠিত


অনুদান না, প্রাপ্য সম্মান ও হত্যাকান্ডের বিচার চাই: ইবিতে শহীদ পরিবারের সদস্যরা


অনুদান না, প্রাপ্য সম্মান ও হত্যাকান্ডের বিচার চাই: ইবিতে শহীদ পরিবারের সদস্যরা
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সাথে  স্মৃতিচারণ ও মতবিনিময় সভা করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ। ছাত্র-শিক্ষক সংহতি দিবস উপলক্ষে রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ১৭টি শহীদ পরিবার ও আন্দোলনে আটক হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এ জুলাই স্মৃতিচারণে অংশ নিয়ে শহীদ পরিবারের সদস্যরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার কর্তৃক প্রিয়জন হারানোর বেদনা তুলে ধরেন পাশাপাশি এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় শহীদ হওয়া সবুজ হোসেন স্ত্রী রেশমা খাতুন বলেন, স্ত্রী ও এক মাসের শিশু সন্তানের মায়া ত্যাগ করে আমার স্বামী আন্দোলনে গিয়েছিলেন। ফ্যাসিস্টের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি শহীদ হন।  একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আমাদের দেখার আর কেউ নেই। আমরা শহীদ পরিবারের সদস্যরা কারো থেকে কোনো অনুদান চাইনা। আমরা শুধু তাদের প্রাপ্য সম্মান ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের হত্যাকান্ডের বিচার চাই।

শহীদ রাকিবুল হোসেনের বাবা মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমার ছেলে শহীদ ইঞ্জিনিয়ার রাকিবুল হোসেন ১৯শে জুলাই মিরপুর ১০ নাম্বার গোলচত্বরে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। ছেলের বিভিন্ন স্মৃতি বারবার মনে আসে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে ক্রিয়াশীল সকল রাজনৈতিক দলকে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আহ্বান করছি। নতুন বাংলাদেশ গড়তে জুলাইয়ের স্পিরিটকে ধারণ করতে হবে। সকল ষড়যন্ত্রকে আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে না পারলে শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ হবে না। আমরা যেন তাদের ভুলে না যাই।

অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লব প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।  

এছাড়া অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সহ-সমন্বয়ক, শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া আন্দোলকারী সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীরা ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।