শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪
দাবা

দেশের ক্রীড়াঙ্গনের এক তারকার বিদায়ক্ষণ


পল্টনে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনে নিজের সেই প্রিয় স্থানে আর যাবেন না গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। শেষবারের মতো আজ গিয়েছিলেন বেলা ১১টার দিকে, তবে কফিনে শুয়ে। পুরোনো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নিচতলায় হলো জিয়ার জানাজা।

৬ জুলাই ২০২৪, ৪:২৯ অপরাহ্ণ 

দেশের ক্রীড়াঙ্গনের এক তারকার বিদায়ক্ষণ

ছবি/প্রথম আলো |

  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন জানাজায়। মাত্র ৫০ বছর বয়সে অকালপ্রয়াত এই দাবাড়ুর কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ), দাবা ফেডারেশন, তায়কোয়ান্দো ফেডারেশন। আনুষ্ঠানিকতা শেষে জিয়ার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মোহাম্মদপুরে তাজমহল রোডে। বাবার কবরের পাশে হচ্ছে তাঁর শেষ ঠিকানা।

জিয়ার চলে যাওয়ায় বাংলাদেশের দাবার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম। জানাজায় এসে তিনি বলেন,‌ ‘অনেকেই টুর্নামেন্টের পুরস্কার ও নানা সুযোগ-সুবিধা কম হলে খেলতে চাইতেন না। জিয়া কখনোই এ রকম ছিলেন না। সব টুর্নামেন্টেই তিনি অংশগ্রহণ করতেন। যেন অন্যরা তার মাধ্যমে শিখতে পারে।’

জিয়ার স্মৃতি ধরে রাখার পরিকল্পনার কথাও জানান ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনেই আলাদা একটি ফ্লোর পাওয়ার কথা ছিল আমাদের । সেখানে গ্র্যান্ডমাস্টার কর্নারের পরিকল্পনা ছিল। সেটা যত দিন না হয় আমরা বর্তমান দাবা ফেডারেশন ক্রীড়াকক্ষকেই জিয়ার নামকরণ করার উদ্যোগ নেব।’

মনন রেজার শেষ রাউন্ড আজই

১২ রাউন্ড পর্যন্ত শীর্ষে থাকা মনন রেজা আগামীকাল শ্রীলঙ্কা যাচ্ছেন একটি টুর্নামেন্ট খেলতে। ফলে তাঁর শেষ রাউন্ড আজই হয়ে যাবে। শেষ রাউন্ডে আজ ড্র করলেই জাতীয় দাবার প্রথমবারের মতো মনন রেজা চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবেন। বাকি ম্যাচগুলো আপাতত আজ ও কাল স্থগিত করা হয়েছে।

৪৮ তম জাতীয় দাবার ১২তম রাউন্ডে গতকাল গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে খেলতে খেলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জিয়াউর রহমান। ২৫ চালের পর ম্যাচটা থেকে যায় অসমাপ্ত। নিয়ম অনুযায়ী অসমাপ্ত ম্যাচ আবার শুরু করতে হয়। কিন্তু জিয়ার মৃত্যুতে ওই ম্যাচে পূর্ণ পয়েন্ট পেয়ে যাবেন রাজীব। তবে মানসিকভাবে তিনি বিপর্যস্ত। জানাজায় এসে বললেন, ‘আমার সামনেই জিয়া ভাইয়ের এমন মৃত্যু জীবনে দুঃসহ স্মৃতি হয়ে থাকবে। এটা না হলেই ভালো হতো।’ [সূত্র: প্রথম আলো]

টিএনএ/৬/২