খুকৃবিতে "জুলাই শহীদ স্মৃতি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট" উদ্বোধন
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ
দেশে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গত ১১ মাসে চার হাজারের বেশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। এর মধ্যে আট শর বেশি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এসব ঘটনায় এক হাজারের বেশি সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে গত শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত থেকে সারা দেশে অস্ত্র উদ্ধার এবং সন্দেহভাজন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে শুরু হয়েছে বিশেষ অভিযান। গত তিন দিনের অভিযানের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, জেলাগুলো থেকে এখনো বিস্তারিত তথ্য আসেনি।
গত ৩ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে জারি করা এক পরিপত্রে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখতে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের তালিকা করে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়। ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ সব ধরনের বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা জোরদার করতে বলা হয়।
ওই নির্দেশ অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২২ দিনের টানা অভিযানে তালিকা ধরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও অস্ত্র বিক্রেতাদের গ্রেপ্তার করা হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ নেই। যাদের বৈধ লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র রয়েছে, তাদেরও নির্বাচনের আগে নির্দিষ্ট থানায় তা জমা দিতে হবে।
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ফায়ার আর্মস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের তথ্য মতে, গত আগস্ট পর্যন্ত করা হিসাব অনুযায়ী সারা দেশে লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৫০ হাজার ৩১০টি। এর মধ্যে ৪৫ হাজার ২২৬টি অস্ত্র ব্যক্তির হাতে এবং পাঁচ হাজার ৮৪টি প্রতিষ্ঠানের হাতে রয়েছে। ১০ হাজার ২১৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পদধারী।
পুলিশ জানায়, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের জন্য এরই মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারকে (এসপি) এসংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠি সারা দেশে ওসিদের কাছেও পাঠানো হয়।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সূত্র বলছে, পুলিশ, র্যাব ও বর্ডার গার্ড বালাদেশ (বিজিবি) চলতি বছরের ১১ মাসে বিভিন্ন ধরনের চার হাজারের বেশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ৮১৫টি। এর আগে গত আগস্ট পর্যন্ত প্রথম আট মাসে দুই হাজার ৭৮৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
র্যাব সূত্র বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে চালানো অভিযানে র্যাব ৫৮১টি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নভেম্বর পর্যন্ত বিজিবি সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৪৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫৭টি বিভিন্ন ধরনের বন্দুক উদ্ধার করে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, সীমান্তের বিভিন্ন পথে চোরাচালানিরা নানা কৌশলে দেশে অস্ত্র ঢোকাচ্ছে। সীমান্তের অন্তত ৩০টি স্থান দিয়ে পিস্তল, রিভলবারসহ বিভিন্ন অস্ত্রের চোরাচালান হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি চোরাচালান হয়ে থাকে ১৭টি সীমান্তপথ দিয়ে। অবৈধ অস্ত্রের চালান ঠেকাতে বিজিবি কড়া নজরদারি শুরু করেছে।
পুলিশের একাধিক জেলার এসপি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।