শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫

মহাখালীতে ফিলিং স্টেশনের আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩


১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১৯ অপরাহ্ণ 

মহাখালীতে ফিলিং স্টেশনের আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

রাজধানীর মহাখালীর রয়েল ফিলিং স্টেশনে গ্যাস পাইপের বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ মো. আমির হোসেন (৩২) নামে আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আমির হোসেন মারা যান। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ এবং শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মৃত আমির হোসেন চাঁদপুর জেলার মোহাম্মদ সেলিম হোসেনের সন্তান।

এর আগে গত বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে মহাখালীর ওই ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণের এ ঘটনায় আটজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

পরদিন গত বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল খায়ের (৪০) নামের একজন মারা যান। তার শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ ও শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

এরপর গতকাল রবিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সালাউদ্দিন (৪৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি আইসিইউর লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

মহাখালীর আগুনে দগ্ধ আটজন হলেন, মো. মামুন শেখ (২৮), মো. রানা (৩০), জীবন (২৬), মো. সালাউদ্দিন (৪৫), মো. আমির হোসেন (৩২), মো. কামাল হোসেন (৫০), আবুল খায়ের (৪০) ও মাসুম (২৪)।

তাদের মধ্যে আবুল খায়ের, সালাউদ্দিন ও আমির হোসেন মারা গেছেন। বাকি চারজন বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে তিনজন আইসিইউতে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। দগ্ধ অন্য একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।