জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন সুলতানা রাজিয়া
রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ৪:১৭ অপরাহ্ণ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। নির্বাচনে এলেন আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে। বহিষ্কৃত হলেন বিএনপি থেকে।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংসতার পর পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৪ নভেম্বর রাতে শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ঢাকার নিউমার্কেট থানার বাসে আগুন দেওয়ার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ওই মামলায় তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতাকে।
দীর্ঘ ২৫ দিন কারাবন্দির পর গত বুধবার জামিন পান শাহজাহান ওমর। একই দিন সন্ধ্যার পর কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। পরদিন সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার কথা জানান তিনি। নৌকার প্রার্থী হিসেবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তিনি। এরপর তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তার এই রাজনৈতিক ইউটার্ন দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) রাতে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আলোচনায় অংশ নেন ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। আলোচনার একপর্যায়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কীভাবে আপনার সাক্ষাৎ হলো এবং তিনি কী বলেছিলেন আপনাকে?
প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, আমি কারাগার থেকে গত ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় বের হলাম। পর দিন আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা বেলা ১১টায় কল করলেন। বললেন প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাতের জন্য ডেকেছেন। আমার কি এই ঔদ্ধত্য আছে- এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার? সেই ডাকে সাড়া দিয়ে গণভবনে গেলাম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে ১৫ মিনিট কথা বলেছি।
তিনি বলেন, এতে মনে হয়েছে, দেশ পরিচালনা সম্পর্কে তার সুদৃঢ় ক্যাপাসিটি আছে। আমার সঙ্গে কথা বলার সময়, রাষ্ট্রের জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শেয়ার করলেন। তিনি আমাকে আন্তর্জাতিক পলিসি শেয়ার করেছেন। উন্নয়নের কথা বলেছেন। বিদেশিরা কেন আমাদের দেশে হস্তক্ষেপ করছে সেটিও বলেছেন। বৈশ্বিক সম্পর্ক কীভাবে বাড়ানো যায় সে সম্পর্কেও ধারণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর মনে হলো, এমন নেত্রীর সঙ্গে রাজনীতি করা যায়।
কোনো কারণে যদি এবারের নির্বাচন না হয় তা হলে কী আবার বিএনপিতে ফিরবেন? এর জবাবে বলেন, আমি আওয়ামী লীগে আসছি। আর ফিরব না। যদি নির্বাচন নাই হয়, তা হলে আওয়ামী লীগের অন্য নেতাকর্মীদের যে অবস্থা হবে আমারও সেই অবস্থা হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে জোট সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে শাহজাহান ওমর নিজের কিছু জমি ও সড়কের পাশে রাস্তা ও মহাসড়কের কিছু জমির ওপর বিশাল আকৃতির দোতলা ভবন তৈরি করে বিএনপি অফিস নির্মাণ করেন। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা চলাকালে সেনাবাহিনী সরকারি জমির ওপর তৈরি করা অংশ ভেঙে ফেলতে চাইলেও কোনো শ্রমিক ওমরের ভবন ভাঙার কাজে রাজি হয়নি।