খুকৃবিতে "জুলাই শহীদ স্মৃতি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট" উদ্বোধন
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ৩:৩৭ অপরাহ্ণ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আগামী এক মাস গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আজ বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) থেকে এ দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাদেক অ্যাগ্রোর কার্যালয়ে মাংস উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) ও মাংস ব্যবসায়ী সমিতির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে নির্বাচনের পর মাংসের দাম আবার সমন্বয় করা হবে বলেও জানানো হয়েছে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে। সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা।
তিনি জানান, আজ বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) থেকে রাজধানীর বাজারগুলোতে ৬৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হবে। এরপর সারাদেশে তা বাস্তবায়ন করা হবে। ব্যবসায়ী ও ক্রেতা উভয়ের স্বার্থে একেক বাজারে একেক দরে গরুর মাংস বিক্রির সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মাংসের দাম সমন্বয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে মতবিনিময় সভায় বসে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেই সভায় কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। তবে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি, বিডিএফএসহ সব পক্ষ গরুর মাংসের দাম ঠিক করবে। ওই সভার সিদ্ধান্ত আগামী রবিবারের (১০ ডিসেম্বর) মধ্যে ভোক্তা অধিদপ্তরে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনও (বিটিটিসি) গরুর মাংসের বাজার যাচাই করবে।
এর আগে গতকাল বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের এক বৈঠকে এ দাম চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হয়। ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকার মাংস বিক্রি হয়। কোরবানির ঈদে আরও ৭৫ হাজার কোটি টাকার পশু কেনাবেচা হয়। সব মিলিয়ে বছরে মোট দেড় লাখ কোটি টাকার ওপরে মাংসের ব্যবসা।
তিনি আরও বলেন, শর্তসহ ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হবে। এক কেজি মাংসে ৭৫০ গ্রাম মাংস, ২০০ গ্রাম হাড় ও ৫০ গ্রাম চর্বি থাকবে, যাতে কাউকে কিনে প্রতারিত হতে না হয়।
মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, সিটি করপোরেশন ২০১৯ সালে মাংসের দর ঠিক করে দেওয়া থেকে সরে আসে। সে বছর মাংসের দাম ৫০০ টাকা কেজি হয়ে যায়। এর পর প্রতিবছরই মাংসের দাম বেড়েছে। চলতি বছর এক কেজি মাংস কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৮০০ টাকা।
মাংসের বাজারের বিশৃঙ্খলার জন্য নিজেদের দায়ী করে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মোর্তজা মন্টু বলেন, সারা দেশে এক দর নিশ্চিত করতে সময় লাগবে। তবে ঢাকায় (আজ) বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ১ মাস অর্থাৎ ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬৫০ টাকা করে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে। তারপর প্রতি মাসে দাম নির্ধারণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ৬০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করলে তাদের লোকসান হবে। কারণ দেশি গরুর প্রতি মণ মাংসের দাম পড়ে ২৮ হাজার ও ফার্মের গরুর ক্ষেত্রে ২৫-২৬ হাজার টাকা। আমাদের কাছে ৬০ শতাংশ দেশি ও ৪০ শতাংশ ফার্মের গরু যোগান রয়েছে।
গতকাল বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মালিবাগ বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, সেখানে তখন কেজিপ্রতি গরুর মাংসের দাম ছিল ৭০০-৭৫০ টাকা। এ প্রসঙ্গে মাংস বিক্রেতা নাজমুল হোসেন বলেন, মাংসের দাম নির্ধারণ করতে হলে সরকারকে গরুর দাম নির্ধারণ করে দিতে হবে। কেননা আমরা সস্তা গরু কিনতে না পারলে বিক্রি করবো কীভাবে। বর্তমানে প্রতি কেজি মাংস কিনতে হচ্ছে ৭০০ টাকা করে।
সারা দেশে মাংসের দাম অভিন্ন হতে হবে বলে দাবি জানিয়ে আরেক ব্যবসায়ী সজীব বলেন, দাম নির্ধারণ মাসভিত্তিক করতে হবে। কেননা একেক মাসে গরুর দাম বাড়ে ও কমে।
এদিকে গরু আমদানির দাবি জানিয়ে খলিল বলেন, বড় খামারিরা কোরবানি ছাড়া গরু বিক্রি করে না। কৃষকের গরুই আমাদের বিক্রি করতে হয়। তাই গরু আমদানি করলে দাম কমানো যাবে।