খুকৃবিতে ভেটেরিনারি অনুষদের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষা সফর
রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ৮:১৫ অপরাহ্ণ
লাল পিঁপড়ার ডিম বিক্রি কথাটা শুনতে একটু অন্য রকম মনে হলেও বাস্তবিক অর্থে এমন পেশায় জড়িত আছেন খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতি ইউনিয়নের রুস্তম আলী, কামাল ও জসীমসহ আরও অনেকে। প্রতিদিন সকালে সূর্য উদয়ের সাথে সাথে বাঁশের ঝুড়ি আর লম্বা বাঁশ হাতে নিয়ে পাহাড়ি পথে ছুটে চলেন তাঁরা। উদ্দেশ্য পাহাড়ি বন-জঙ্গল থেকে পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করা। পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ শেষে তা বিক্রি করে যা উপার্জন হয়, তা দিয়েই চলে জীবন জীবিকা।
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে মাছের খাবার ও বড়শি দিয়ে মাছ ধরার টোপ হিসেবে ব্যবহার করা পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করে স্থানীয় পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। সেই পাইকারদের হাত ধরেই এসব পিঁপড়ার ডিম বিক্রি হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও কুমিল্লায়। বছরের ৪ মাস অন্য পেশায় জীবিকা নির্বাহ করলেও মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তারা পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করেন। প্রতিদিন ১ থেকে দেড় কেজি পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করেন একেকজন। সকাল হলেই বাঁশ ও ঝুড়ি নিয়ে বের হয়ে যান এই পেশার লোকজন। গাছ থেকে ডিম সংগ্রহ করার পর বিকেলে এসব ডিম পাইকারদের কাছে প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি করেন।
তাঁরা বলেন ডিম সংগ্রহ করতে অনেক কষ্ট হয়। কারন লাল পিঁপড়া সাধারণত মগডালে বাসা বাঁধে। ডিম সংগ্রহ করার সময় কমবেশি কামড় খেতে হয়। আবার সব পিঁপড়ার বাসায় ডিম পাওয়া যায় না। সারাদিন বনে-জঙ্গলে ডিমের আশায় ঘুরে বেড়াতে হয়। পিঁপড়ার বাসা খুঁজে পাওয়ার ওপর নির্ভর করে প্রতিদিনের আয় রোজগার এমনটাই বললেন এই পেশায় জড়িত লোকজন।
তাঁরা আরও জানালেন, একসময় এ পেশায় লোকজন কম ছিল। তখন প্রচুর ডিম পাওয়া যেত। বর্তমানে এই পেশায় লোকজন বাড়লেও দেশীয় গাছ কাটার কারণে পিঁপড়ার বাসা কমে গেছে। তাই নির্বিচারে দেশীয়ও গাছ কাটা বন্ধের দাবি জানান।