উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী কুবি শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছেন মেরী
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪
৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ৯:২৬ অপরাহ্ণ
মেধাবী শিক্ষার্থী তৃণা দাশ | ছবি: সংগৃহীত
গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন |
চট্টগ্রাম কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী তৃণা দাশ। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত বার্ষিক পরীক্ষার শুরুর দিকে তৃণা দাশ বেশ সুস্থই ছিলেন। তবে প্রথম তিনটি পরীক্ষার পরই শরীরে জ্বরের অস্তিত্ব টের পান তিনি। আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর, বিভিন্ন স্থানে ব্যথা অনুভব হয় তাঁর। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে পারলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। এমন সংবাদে যে কারোরেই মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার কথা। কেননা একদিকে পরীক্ষা অন্যদিকে ডেঙ্গু। কিন্তু কিছুতেই হাল ছাড়েননি তিনি। ডেঙ্গু পজেটিভ নিয়েই বাকি পরীক্ষাগুলো দিয়েছেন তৃণা দাশ, মানবিক বিভাগ থেকে পেয়েছেন জিপিএ–৫।
তিনি বলেন, ‘প্লাটিলেট অনেক কমে গিয়েছিল। বাসাতেই শুরু হয়েছিল স্যালাইন দেওয়ার যুদ্ধ। ভাই বলেছিল, বেঁচে থাকলে পরীক্ষা হাজারবার দেওয়া যাবে। কিন্তু আমি কথা শুনিনি। অসুস্থতা নিয়েই প্রস্তুতি নিয়েছি, পরীক্ষা দিয়েছি।’
কিন্তু ফল প্রকাশের দিন তৃণার কোনো উৎকণ্ঠা ছিল না। ধরে নিয়েছিলেন, গড়পড়তা একটা ফল হয়তো হবে। নিজে ফল দেখতেও যাননি। জেনেছেন বন্ধুদের কাছ থেকে। শুরুতে বিশ্বাস হয়নি, এত কষ্টের পরও তিনি জিপিএ–৫ পেয়েছেন। শুরুতেই ফোন করেছেন মাকে। তৃণা বলেন, ‘সবার আগে মায়ের কথাই মনে পড়েছে। পরীক্ষার সময় মা অনেক কষ্ট করেছেন। আমাদের একটা মুদিদোকান আছে। ঘরের পাশাপাশি বাবার সেই দোকানও মা-ই সামলান। ডেঙ্গু হওয়ার পর আমাকে পরিচর্যার ভারও মায়ের কাঁধে এসে পড়েছিল। খবরটা সবার আগে তাই মাকেই জানিয়েছি।’
কেবল বাংলা ছাড়া সব বিষয়েই এ প্লাস পেয়েছেন এই শিক্ষার্থী। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিই তাঁর একমাত্র ধ্যানজ্ঞান।