রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪

একদিন পরই জানা যাবে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা


২ ডিসেম্বর ২০২৩, ৪:১০ অপরাহ্ণ 

একদিন পরই জানা যাবে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

উৎসবমুখর পরিবেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর এখন চলছে যাচাই-বাছাই। ফলে অপেক্ষা আর মাত্র একদিনের। এরপরই জানা যাবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা।

আজ শনিবার (০২ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো এ কার্যক্রম চলে প্রতিটি সংসদীয় আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে। মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে দেশের ৩০০ আসনে ২ হাজার ৭৪১ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণে চলছে যাচাই-বাছাই। এ প্রক্রিয়ায় প্রার্থীর ব্যাংকঋণ, সেবাসংস্থার বিল, ফৌজদারি মামলাসহ কোনো তথ্য গোপন আছে কিনা সেসব বিষয়েই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

এরইমধ্যে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশ কিছু জায়গায় নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়নপত্র পূরণ না করা, তথ্যে গরমিলসহ বিভিন্ন কারণে বেশ কয়েকজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

এর মধ্যে রয়েছেন টাঙ্গাইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠাণ্ডু, নড়াইল-১ এ স্বতন্ত্র প্রার্থী শিকদার শাহাদাত হোসেন। এছাড়া রংপুর-১ আসনে কাগজপত্রে অসঙ্গতি থাকায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ ৪ জনের মনোনয়নপত্র স্থগিত ও তিনজনের বাতিল করা হয়।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাবিরুল ইসলাম জানান, গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে ১ ডিসেম্বর থেকে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুরুতেই প্রার্থীদের তথ্য পাঠানো হয় বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সেবাসংস্থার দফতরে। সেখান থেতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রার্থীদের সামনেই উন্মোচন করা হবে নিজ নিজ আমলনামা।

এছাড়া রবি ও সোমবারও প্রার্থীদের উপস্থিতিতে চলবে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম। সেখানেই চূড়ান্ত হবে মনোনয়নের বৈধতা। তবে কেউ ছিটকে পড়লেও আপিলের সুযোগ পাবেন বলে জানান সাবিরুল ইসলাম।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছাড়াও নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন ও নির্বাচনী মাঠ সংঘাতমুক্ত রাখতে নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় সভার মাধ্যমে নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারাও।

চার ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে আপিল নিষ্পত্তির কার্যক্রম। ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুযোগ থাকছে মনোনয়ন প্রত্যাহারের। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হবে নির্বাচনের মূল আমেজ প্রচার-প্রচারণা।